দেশজনতা অনলাইন : পুরো দেশেই এখন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে আতঙ্ক। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েই চলছে। রাজধানীর বিভিন্ন কোরবানির হাটে গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কোরবানির ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা গরু, ছগল, মহিষসহ বিভিন্ন পশু রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে নিয়ে আসছেন। তাদেরকে থাকতে হচ্ছে হাটেই। রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখে আতঙ্ক কাজ করছে এসব পশু ব্যবসায়ীর মধ্যে। শুধু ব্যবসায়ী নন, হাসিল ঘরের কর্মীদের মধ্যেও ভয় কাজ করছে।
শুক্রবার রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলী গিয়ে ব্যবসায়ী ও হাসিল ঘরের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্যই জানা গেছে।
কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে গাবতলী হাটে আসা রিয়াজুল হকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘গরুর হাটে প্রচুর আবর্জনা থাকে। বিভিন্ন স্থানে পানিও জমে আছে। এসব আবর্জনা ও পানি থেকেই তো মশা-মাছি জন্ম নেয়।’
রিয়াজুল হক বলেন, ‘ভাই, মরার ভয় তো সবারই আছে। ঢাকায় এসে দেখি, সব জায়গায় শুধু ডেঙ্গু জ্বর। এটা দেখে খুব ভয় লাগছে। কখন যে এডিস মশা কামড় দেয়, সেটা তো জানি না।’
গরু ব্যবসায়ী হারুন মিয়া বলেন, ‘গরু নিয়ে এসেছি তিন দিন হয়েছে। রাতে এই হাটেই ঘুমাতে হয়। খুব মশা এখানে। তাই রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাই। শুনেছি, এই মশা নাকি কামড়ায় দিনের বেলা। কিন্তু দিনের বেলা অনেক কাজ থাকে। আবার দুপুরের পরে বসে সবার সাথে গল্প করি। এখন দিনের বেলায় তো আর মশারি টাঙিয়ে বসে থাকা যায় না।’
গাবতলীর ১ নম্বর হাসিল ঘরের ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘কোরবানির হাট জমে উঠবে আর এক সপ্তাহের মধ্যেই। চারিদিকে যেভাবে ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে তাতে খুব ভয়ে আছি। কারণ, সারা দিন এখানেই তো বসে থাকতে হয়। ময়লা-আবর্জনা থাকে অনেক, আবার কিছু কিছু স্থানে পানিও জমে থাকে। সেখান থেকেই তো মশাদের জন্ম।
তিনি বলেন, আমাদের হাটে প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করা হয়। সিটি করপোরেশনের লোক এসে প্রতিদিন সকালে পুরো হাট পরিষ্কার করে দিয়ে যায়। আমাদের পক্ষ থেকেও লোক রাখা আছে। তারাও বিভিন্ন সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখে। সিটি করপোরেশনের লোকজন প্রতিদিন পরিষ্কার করে গেলেও যদি দুই দিন পর পর মশার ওষুধ দিয়ে যেত তাহলে আরো ভালো হতো।’