ঘাট এলাকায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে অপেক্ষা করছে শত শত বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। যেসব ট্রাকে অপচনশীল দ্রব্যে আছে সেসব ২ থেকে ৪ দিন ধরে ঘাটে আটকে আছে। ঘাটে আটকে থাকা অনেক চালক ও হেলপারের খোরাকির টাকা ফুরিয়ে গেছে।
দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে গত রোজার ঈদে ২০টি ফেরি চলাচল করলেও বর্তমানে চলছে মাত্র ১৩টি। এছাড়াও প্রবল স্রোতের কারণে ফেরিগুলো দ্রুত চলাচল করতে পারছে না। দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় ঘণ্টা খানেক। অতিরিক্ত সময় লাগার কারণে কমে গেছে ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও।
পাথরঘাটা থেকে কয়েকশ’ মুরগি, পাতিহাঁস ও রাজহাঁস নিয়ে ঢাকায় আসছেন তরুণ ব্যবসায়ী মো. এলেন। কিন্তু দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ২৫ ঘণ্টা ধরে আটকে আছেন। অনিরাপত্তার মধ্যে রাত পার করা ছাড়াও দিনের প্রচণ্ড রোদে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে বেশ কিছু মুরগি। বাকিগুলোকে পানি ছিটিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. এলেন বলেন, ‘একেকটি মুরগির দাম গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা। এরমধ্যে অনেকগুলো মরে গেছে। কখন ফেরিতে উঠতে পারবো তা জানি না। আমার লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী ট্রাক (যশোর মেট্টো ট-১১-৪৯৯৫) চালক মো. মুকুল হোসেন বলেন, ‘দুই দিন ধরে দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরির সিরিয়ালে আটকে আছি। কবে ফেরিতে উঠতে পারবো জানি না।’
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী বাস চালক সোহেল হোসেন বলেন, ‘ঘাটে এসেছি প্রায় ১৩ ঘণ্টা। এখনও ফেরিতে উঠতে পারি নাই। যাত্রীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আবু আব্দুল্লাহ জানান, ‘দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগছে। ফেরির আপ-ডাউন ট্রিপ সংখ্যা কমে যাওয়ায় ঘাট প্রান্তে যান-বাহনের লাইন জমেছে। সিরিয়াল অনুযায়ী সব গাড়ি ফেরি পার হবে।’