টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : ভারী বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিতে শিবিরের অনেক ঝুপড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। ঝড়ো বাতাসে উড়ে গেছে অনেক ঘরের ছাউনি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে আশ্রয় নেওয়া হাজারো রোহিঙ্গা নর-নারী ভূমিধসের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।
মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ফলে ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পরে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। পুরনোসহ উখিয়া ও টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টেকনাফের শালবন, লেদা, জাদিমুড়া ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখা যায়, বন বিভাগের পাহাড় পরিষ্কার করে বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে তৈরি করা অনেক ঝুপড়ি ঘর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে কাদা ও নর্দমার পানিতে চলাচলের পথে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
সেখানে বাস করা কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, আগের রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরের শতাধিক পরিবারের ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় অন্যত্র আশ্রয় খুঁজছেন অনেকে।
জাদিমুড়া শালবন পাহাড়ের পাদদেশে আশ্রয় নেওয়া মোহাম্মদ আবু তাহের জানান, ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় আট সদস্যের পরিবারকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় অন্যত্র আশ্রয় খুঁজে নেওয়ার চিন্তা করছেন বলে জানান তিনি। এই রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান রমিদা বেগম বলেন, পানি নামলে ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। তাই বৃষ্টিতে রাতে না ঘুমিয়ে বসে থাকতে হয়।
জাদিমুড়া রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা আরেকটি শিবিরের মাঝি মোহাম্মদ একরাম জানান, তাদের শিবিরে সাত শতাধিক মানুষ রয়েছে। ঘরগুলো খুবই দুর্বল। সামান্য বাতাসে নড়াচড়া করতে থাকে। এ সময় ছেলেমেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, ‘ভারী বর্ষণে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ফলে ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পরে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। পুরনোসহ উখিয়া ও টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টেকনাফের শালবন, লেদা, জাদিমুড়া ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখা যায়, বন বিভাগের পাহাড় পরিষ্কার করে বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে তৈরি করা অনেক ঝুপড়ি ঘর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে কাদা ও নর্দমার পানিতে চলাচলের পথে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
সেখানে বাস করা কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, আগের রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরের শতাধিক পরিবারের ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় অন্যত্র আশ্রয় খুঁজছেন অনেকে।
জাদিমুড়া শালবন পাহাড়ের পাদদেশে আশ্রয় নেওয়া মোহাম্মদ আবু তাহের জানান, ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় আট সদস্যের পরিবারকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় অন্যত্র আশ্রয় খুঁজে নেওয়ার চিন্তা করছেন বলে জানান তিনি। এই রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান রমিদা বেগম বলেন, পানি নামলে ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। তাই বৃষ্টিতে রাতে না ঘুমিয়ে বসে থাকতে হয়।
জাদিমুড়া রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা আরেকটি শিবিরের মাঝি মোহাম্মদ একরাম জানান, তাদের শিবিরে সাত শতাধিক মানুষ রয়েছে। ঘরগুলো খুবই দুর্বল। সামান্য বাতাসে নড়াচড়া করতে থাকে। এ সময় ছেলেমেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, ‘ভারী বর্ষণে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’