বুধবার ভোরে গুদামটির ভেতর থেকে একে একে বের করে আনা হয় তিনটি পোড়া দেহ। এর আগে গতকালই নিহত হন রাসেল মিয়া নামে এক নিরাপত্তাকর্মী। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার আলাল উদ্দিনের ছেলে। সাত বছর ধরে কারখানাটির নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। এছাড়া নিখোঁজ থাকেন চারজন।
তারা হলেন-এসিপ্ল্যান্ট বিভাগের আনোয়ার হোসেন, সুজন মিয়া, রায়হান মিয়া ও মোহাম্মদ শাহজালাল। তাদের মধ্যে তিনজনের লাশ সকালে উদ্ধার করা হয়। তবে পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় কোনটি কার লাশ তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনরা আসলেন তারাও চিনতে পারছেন না কোনটি তাদের স্বজনদের লাশ।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া লাশগুলো চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ‘অটো স্পিনিং মিল’ নামের কারখানায় আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটের পাশাপাশি কারখানার ফায়ার ফাইটার দলের সদস্যরার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকাণ্ডের উৎস সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। আগুনে গুদামের প্রচুর তুলা পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি।