সোমবার থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হবে। এতদিন এক চুলার মাসিক বিল ছিল ৭৫০, দুই চুলার ৮০০ টাকা। অর্থাৎ মাসে বিল বাড়ল ১৭৫ টাকা।
রবিবার বিকালে কারওয়ানবাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এছাড়া মিটারযুক্ত প্রতি ঘনমিটারে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬০ টাকা।
আবাসিকের পাশাপাশি বেড়েছে শিল্প, বাণিজ্যিক গ্যাসের দামও। দাম বাড়ানোর ফলে গৃহস্থালী পর্যায় থেকে শুরু করে শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সার, চা বাগান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প, সিএনজিচালিত যানবাহনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ছে।
সবশেষ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই বছরের মার্চ ও জুলাই থেকে দুই ধাপে তা কার্যকর করার কথা থাকলেও মার্চে দাম কার্যকর হয়। আর জুলাই মাসের দাম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত করা হয়।
গ্যাস সংকট সমাধানে সরকার বিদেশ থেকে তরল গ্যাস এনে পাইপলাইনে সরবরাহ করছে। এই বাড়তি দামের সঙ্গে বর্তমান দামের সমন্বয় করার ঘোষণা সরকার এক বছর আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো কমিশনের কাছে গড়ে ১০২ ভাগ গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। পরে মার্চ মাসে গণশুনানি করে কমিশন। শুনানির ৯০ দিনের মধ্যে দামের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম অনুযায়ীই গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের আবেদনে এলএনজির কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানো দরকার বলে উল্লেখ করে। এতে বলা হয়, সরকার জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানি করছে। এখন প্রতিদিন ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। বছরের মাঝামাঝি সময়ে যা বেড়ে দাঁড়াবে অন্তত ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটে। বাড়তি দরে এই গ্যাস কিনে কম দামে সরবরাহ করা হবে। এতে করে জ্বালানি খাতে বিশাল ঘাটতি তৈরি হবে। যে কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে কোম্পানিগুলো।
তারা বলছে, আমদানি করা এলএনজির প্রতি হাজার ঘনফুটের মূল্য ১০ ডলার বা ৮২০ টাকা (প্রতি ডলার ৮২ টাকা হিসাবে), অন্যদিকে দেশে উৎপাদিত প্রতিহাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ১২ টাকা ১৯ পয়সা। দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্র থেকে দৈনিক ২ হাজার ৭১৬ মিলিয়ন ঘনফুট এবং আমদানি করা এলএনজি ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহের হিসাবনিকাশ করে এবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।