পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, সাগর এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে বরগুনা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
রিফাত শরীফকে হত্যার ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ১২ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন তার বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ। এ মামলার আসামিরা হলো ক্রম অনুযায়ী সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড) (২৫), মো. রিফাত ফরাজী (২৩), মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)। বাকি পাঁচ থেকে ছয় জন অজ্ঞাত আসামি।
১২ আসামির মধ্যে আগে ধরা পড়ে দুজন। এরা হলো চন্দন ও মো. হাসান। আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয় সন্দেহভাজন হিসেবে। নাজমুল হাসান নামের এই সন্দেহভাজনের নাম মামলায় নেই। এরমধ্যে গ্রেফতার দুই আসামি চন্দন ও হাসানের সাত দিন এবং নাজমুল হাসানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রাসেল এ রিমান্ড আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হুমায়ন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বুধবার (২৬ জুন) বরগুনা কলেজের ভেতর থেকে রিফাত শরীফকে বের করে এনে কলেজের সামনের রাস্তায় কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসী সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা। এ সময় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ঘাতকদের বাধা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তবে এক ঘাতককে আটকে রাখলে অন্য ঘাতক উপর্যুপরি কোপাতে থাকায় তার সে চেষ্টা বিফলে যায়। সন্ত্রাসীদের মধ্যে রিফাত ফরাজীর হাত থেকে রামদা খসে পড়ে গেলে তারা হামলা থামিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর গুরুতর আহত রিফাত শরীফকে রিকশায় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান মিন্নি। এ ঘটনার সময় আশেপাশে শত শত লোক জড়ো হলেও নয়ন বন্ডের সহযোগীরা চারপাশে ছড়িয়ে থাকায় কেউ তাদের আটকানোর সাহস করেনি। তবে হামলাকারীদেরই একজন রিশান ফরাজী চাইছিল রিফাত শরীফকে যেন প্রাণে মারা না হয়। এজন্য নয়ন বন্ডকে সেও আটকানোর চেষ্টা করে। নয়নের রামদা’র দু-একটি আঘাত তার শরীরেও লাগে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় সেও দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় মোবাইল ফোনে দূর থেকে ধারণ করা একাধিক ভিডিও ফুটেজে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।