দেশজনতা অনলাইন : দেশে প্রথম বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটার তৈরির কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে খুলনায়। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে উৎপাদনে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে কোম্পানি গঠনসহ উৎপাদনের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শফিক উদ্দিন জানান, উৎপাদিত স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বাংলাদেশের সব বিদ্যুৎ গ্রাহককে সহজে সরবরাহ করা যাবে। ফলে আমদানির জন্য সময়ক্ষেপণ হবে না। এই কোম্পানি গঠিত হওয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও জানান, এই কোম্পানির অর্জিত মুনাফা দ্বারা ভবিষ্যতে অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হবে এবং মুনাফার অবশিষ্ট অংশ সরকারি রাজস্ব খাতে জমা হবে। এছাড়া কারখানাতে প্রিপেইড মিটারের পাশাপাশি অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল পণ্যও উৎপাদন করা হবে, যা দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সব প্রিপেইড মিটার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয়সহ অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া কারিগরি বিষয়ে রফতানিকারক দেশের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করতে হয়। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে দেশেই এই মিটার উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটি অনুমোদন পায়।
দেশে প্রথম বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটার তৈরির লক্ষ্যে যৌথ কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। এজন্য ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়নার হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে একটি জয়েন্টভেঞ্চার চুক্তি সই হয়।
আরও জানা যায়, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ২১ জেলা ও ২০টি উপজেলা সদরে বর্তমানে মোট ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৯ জন বিদ্যুৎ গ্রাহককে সেবা প্রদান করছে। গ্রাহকদের আধুনিক এবং আরও মানসম্মত সেবা প্রদান ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার সব বিদ্যুৎ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ওজোপাডিকো’র আওতায় ১৪ লাখ ৬৮ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৪টি প্রিপেইড মিটার গ্রাহকের আঙিনায় স্থাপন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৩৬টি মিটার আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে স্থাপন করতে হবে।
সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী (২০১৬-২০২০) পরিকল্পনায় সারাদেশে ৭৫ লাখ ইলেকট্রোমেকানিক্যাল বা ডিজিটাল এনার্জি মিটার-কে প্রিপেইড মিটার দ্বারা প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত পরিকল্পনায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরের মধ্যে ২ কোটি ৮৭ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ ৭ হাজার ৫৮৪টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২ কোটি ৭০ লাখ ৯২ হাজার ৪১৬টি প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করতে হবে।
খুলনা মহানগরীর মোহাম্মদনগরে আপাতত ভাড়া করা জায়গায় প্রাথমিকভাবে এই কাজ শুরু হচ্ছে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। পরে নগরীর শেখপাড়ায় ওজোপাডিকোর নিজস্ব জায়গায় স্থায়ীভাবে উৎপাদন কারখানা নির্মাণ করা হবে। এই কাজের জন্য ২৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে কমপক্ষে দুইশত জনের কর্মসংস্থান হবে। এখান থেকে দুই শিফটে ১০ লাখ মিটার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সিঙ্গেল ফেজ মিটারের মাসিক ভাড়া ৪০ টাকা আদায় করতে হবে।
ওজোপাডিকোর কোম্পানি সচিব আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘এই কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বর্তমান বাজারমূল্য থেকে কমমূল্যে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করা সম্ভব হবে। উৎপাদিত স্মার্ট প্রিপেইড মিটার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা যাবে। এছাড়া এই মিটারের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের সার্ভিস চার্জও নেই।’
তিনি আরও জানান, এই কোম্পানির অর্জিত মুনাফা দ্বারা ভবিষ্যতে অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হবে এবং মুনাফার অবশিষ্ট অংশ সরকারি রাজস্ব খাতে জমা হবে। এছাড়া কারখানাতে প্রিপেইড মিটারের পাশাপাশি অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল পণ্যও উৎপাদন করা হবে, যা দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সব প্রিপেইড মিটার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয়সহ অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া কারিগরি বিষয়ে রফতানিকারক দেশের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করতে হয়। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে দেশেই এই মিটার উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটি অনুমোদন পায়।
দেশে প্রথম বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটার তৈরির লক্ষ্যে যৌথ কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। এজন্য ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়নার হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে একটি জয়েন্টভেঞ্চার চুক্তি সই হয়।
আরও জানা যায়, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ২১ জেলা ও ২০টি উপজেলা সদরে বর্তমানে মোট ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৯ জন বিদ্যুৎ গ্রাহককে সেবা প্রদান করছে। গ্রাহকদের আধুনিক এবং আরও মানসম্মত সেবা প্রদান ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার সব বিদ্যুৎ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ওজোপাডিকো’র আওতায় ১৪ লাখ ৬৮ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৪টি প্রিপেইড মিটার গ্রাহকের আঙিনায় স্থাপন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৩৬টি মিটার আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে স্থাপন করতে হবে।
সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী (২০১৬-২০২০) পরিকল্পনায় সারাদেশে ৭৫ লাখ ইলেকট্রোমেকানিক্যাল বা ডিজিটাল এনার্জি মিটার-কে প্রিপেইড মিটার দ্বারা প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত পরিকল্পনায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরের মধ্যে ২ কোটি ৮৭ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ ৭ হাজার ৫৮৪টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২ কোটি ৭০ লাখ ৯২ হাজার ৪১৬টি প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করতে হবে।
খুলনা মহানগরীর মোহাম্মদনগরে আপাতত ভাড়া করা জায়গায় প্রাথমিকভাবে এই কাজ শুরু হচ্ছে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। পরে নগরীর শেখপাড়ায় ওজোপাডিকোর নিজস্ব জায়গায় স্থায়ীভাবে উৎপাদন কারখানা নির্মাণ করা হবে। এই কাজের জন্য ২৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে কমপক্ষে দুইশত জনের কর্মসংস্থান হবে। এখান থেকে দুই শিফটে ১০ লাখ মিটার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সিঙ্গেল ফেজ মিটারের মাসিক ভাড়া ৪০ টাকা আদায় করতে হবে।
ওজোপাডিকোর কোম্পানি সচিব আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘এই কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বর্তমান বাজারমূল্য থেকে কমমূল্যে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করা সম্ভব হবে। উৎপাদিত স্মার্ট প্রিপেইড মিটার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা যাবে। এছাড়া এই মিটারের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের সার্ভিস চার্জও নেই।’