বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামে শাহীনের প্রতিবেশী দেবাশীষ আইচ। তিনি জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শাহীনের পালস ভালো আছে। তবে ব্রেনে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। মাথায় রক্ত জমাট থাকার আশঙ্কায় চিকিৎসকরা তার অপারেশন করেছেন।
এর আগে, রাত ১০টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয় বলে জানান দেবাশীষ। শাহীন কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।
জানা যায়, যশোর জেলার কেশবপুরের গোলাখালি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহীন শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছিল। দুপুরের দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ভ্যানটি ভাড়া নেয়। শাহীন তাদের নিয়ে সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ার দিকে রওনা হয়। ধানদিয়া গ্রামের হামজামতলা মাঠে ঢুকে একটি পাটক্ষেতের পাশে দুর্বৃত্তরা শাহীনের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়, তারা শাহীনের মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে সে। পরে জ্ঞান ফিরে কান্না শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বলেন, ‘ শাহীনকে উদ্ধার করে খুলনার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার (২৯ জুন) বিকালে উন্নত চিৎিসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’
প্রসঙ্গত, বসতভিটা ছাড়া শাহীনদের কোনও জমিজমা নেই। সম্প্রতি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান কেনে তার পরিবার। বাবা ও ছেলে দুই শিফটে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতো তারা। শাহিনের ছোট দুই বোনের পড়ালেখার খরচও চলতো ভ্যানের আয়ে। জীবিকার সেই শেষ সম্বলটিও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শাহীনের বেঁচে থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এনজিওর ঋণের বোঝা তো আছেই।