ইসলামপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধরী ও নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয়েছে ২৬টি সোলার পাম্প। প্রতিটি সোলার সেচ পাম্প ৭ হাজার ২শ’ ওয়াট এবং মটর ৩ দশমিক ৭৫ কিলোওয়াট রয়েছে। প্রতিটি সোলার পাম্পের আওতায় ১০০ বিঘা জমিতে ধান, পাট, মরিচ, ভুট্টা, গম, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজি উৎপাদন করতে পারবে কৃষকরা। সেই হিসেবে আড়াই হাজার বিঘা জমিতে সবুজ ফসল ফলানোর ব্যবস্থা হয়ে গেছে।
.বেলগাছা মুন্নিয়া গ্রামের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, ‘ইরি ধান লাগাতে পানির জন্য সমস্যা হতো। খরচ বেশি হতো। এখন এমন সুযোগ পেলাম, পানির জন্য আর কোনও খরচ নেই।’
একই এলাকার আরও অনেক কৃষকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও জানিয়েছেন স্বস্তির কথা।
সোলার স্থাপন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদনে যেখানে খরচ হতো ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। এখন সেখানে ফসল উৎপাদন থরচ অনেক কমে গেছে।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) এলাকার সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল বলেন, ‘বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করতে হলে কৃষকদের ভাগ্য বদল করতে হবে। কৃষকরা বিনামূল্যে পানি সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদন করে যেন লাভবান হতে পারে, সে লক্ষ্যেই এই সোলার সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।’
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রহমান জানান, যমুনা নদীর দুর্গম অঞ্চলে কৃষকদের উন্নয়নের কথা ভেবেই গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় সোলার সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এটি পরীক্ষামূলক এবং উদ্ভাবনীমূলক কাজ।
শুধু ইসলামপুর উপজেলার চরাঞ্চল নয়, জেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী দেওয়ানগঞ্জ, সরিষাবাড়ী উপজেলার দুর্গম চরগুলোতে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করতে পারলে জামালপুরের চিত্র পাল্টে যাবে মনে করছেন সবাই।