দেশজনতা অনলাইনঃ দেশের চার হাজার ৩১২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে বেতন কাঠামোর আওতায় আনা হচ্ছে। এর মধ্যে নিবন্ধিত ও সরকারি অনুদান পাওয়া এক হাজার ৫১৯টি প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিতদের শিগগিরই বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এর আওতায় নেবে সরকার। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সারাংশ পাঠান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর (বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিব)। ওই সারাংশ গত ১২ জুন অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) এ কে এম জাকির হোসেন ভুঞা বলেন, ‘এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের কাগজ হাতে পেলে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে প্রথমে এক হাজার ৫১৯টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও এমপিওভুক্ত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্তির জন্য আলাদা কোনও নীতিমালা নেই। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো অনুদানভুক্ত করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়েছে।
দেশের প্রাথমিক স্তরের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন, স্বীকৃতি, পরিচালনা, জনবল কাঠামো এবং বেতন-ভাতা, অনুদান সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর জারি করেছে সরকার। নীতিমালায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রাথমিক শিক্ষকের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষক থাকবেন। তাদের মধ্যে একজন ইতবেদায়ি প্রধান, দুইজন ইবতেদায়ি সহকারী শিক্ষক এবং একজন ইবতেদায়ি ক্বারি শিক্ষক। ইবতেদায়ি প্রধান ১১তম গ্রেডে বেতন পাবেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) বেতনের গ্রেড ১১তম। তবে নীতিমালা অনুযায়ী, ইবতেদায়ি সহকারী এবং ক্বারি শিক্ষক বেতন পাবেন ১৬তম গ্রেডে। বর্তমানে নিবন্ধিত ইবতেদায়ি প্রধান শিক্ষকরা দুই হাজার ৫ শ’ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা দুই হাজার ৩০০ টাকা সরকারি অনুদান পাচ্ছেন।
নীতমালায় আরও বলা হয়, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অনুমোদন নিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পাঠদানের অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি দেবে। শর্তপূরণ করে দুই বছর শেষে আবেদন করা যাবে। পাঠদানের অনুমতি পাওয়ার চার বছরের মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতি না পেলে পাঠদানের অনুমোদন বাতিল হয়ে যাবে। একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর শিক্ষকরা বেতন-ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী, এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রথমে এর আওতায় আসবে এক হাজার ৫২৯টি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আগের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে বেতন কাঠামোর আওতায় নিতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে মোট ১৮ হাজার ১৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার নিবন্ধন দেয় সরকার। এর মধ্যে ১৯৯৪ সালে এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ৫শ’ টাকা করে অনুদান দেওয়া শুরু হয়। একই সময় সমান অনুদান পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি করা হয়েছে। তবে মাত্র এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে এখনও সামান্য অনুদান দেওয়া হচ্ছে।যে পরিমাণ অর্থ লাগবে
দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা মোট ৪ হাজার ৩১২টি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো প্রস্তাব অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিতদের বেতন-ভাতা দিতে প্রতিবছর সরকারের ব্যয় হবে ৩১০ কোটি ৯৭ লাখ ৭১ হাজার ২৮০ টাকা। এর মধ্যে নিবন্ধিত সরকারি অনুদান পাওয়া প্রতিষ্ঠান এক হাজার ৫১৯টি। এসব মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হলে সরকারের ব্যয় হবে ১০৯ কোটি ৫৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬১০ টাকা। আর অনুমোদনহীন ও বিনা অনুদানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ২ হাজার ৭৯৩টি। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিবছর ব্যয় হবে ২০১ কোটি ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭০ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সারাংশ পাঠান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর (বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিব)। ওই সারাংশ গত ১২ জুন অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) এ কে এম জাকির হোসেন ভুঞা বলেন, ‘এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের কাগজ হাতে পেলে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে প্রথমে এক হাজার ৫১৯টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও এমপিওভুক্ত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্তির জন্য আলাদা কোনও নীতিমালা নেই। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো অনুদানভুক্ত করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়েছে।
দেশের প্রাথমিক স্তরের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন, স্বীকৃতি, পরিচালনা, জনবল কাঠামো এবং বেতন-ভাতা, অনুদান সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর জারি করেছে সরকার। নীতিমালায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রাথমিক শিক্ষকের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষক থাকবেন। তাদের মধ্যে একজন ইতবেদায়ি প্রধান, দুইজন ইবতেদায়ি সহকারী শিক্ষক এবং একজন ইবতেদায়ি ক্বারি শিক্ষক। ইবতেদায়ি প্রধান ১১তম গ্রেডে বেতন পাবেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) বেতনের গ্রেড ১১তম। তবে নীতিমালা অনুযায়ী, ইবতেদায়ি সহকারী এবং ক্বারি শিক্ষক বেতন পাবেন ১৬তম গ্রেডে। বর্তমানে নিবন্ধিত ইবতেদায়ি প্রধান শিক্ষকরা দুই হাজার ৫ শ’ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা দুই হাজার ৩০০ টাকা সরকারি অনুদান পাচ্ছেন।
নীতমালায় আরও বলা হয়, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অনুমোদন নিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পাঠদানের অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি দেবে। শর্তপূরণ করে দুই বছর শেষে আবেদন করা যাবে। পাঠদানের অনুমতি পাওয়ার চার বছরের মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতি না পেলে পাঠদানের অনুমোদন বাতিল হয়ে যাবে। একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর শিক্ষকরা বেতন-ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী, এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রথমে এর আওতায় আসবে এক হাজার ৫২৯টি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আগের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে বেতন কাঠামোর আওতায় নিতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে মোট ১৮ হাজার ১৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার নিবন্ধন দেয় সরকার। এর মধ্যে ১৯৯৪ সালে এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ৫শ’ টাকা করে অনুদান দেওয়া শুরু হয়। একই সময় সমান অনুদান পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি করা হয়েছে। তবে মাত্র এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে এখনও সামান্য অনুদান দেওয়া হচ্ছে।যে পরিমাণ অর্থ লাগবে
দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা মোট ৪ হাজার ৩১২টি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো প্রস্তাব অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিতদের বেতন-ভাতা দিতে প্রতিবছর সরকারের ব্যয় হবে ৩১০ কোটি ৯৭ লাখ ৭১ হাজার ২৮০ টাকা। এর মধ্যে নিবন্ধিত সরকারি অনুদান পাওয়া প্রতিষ্ঠান এক হাজার ৫১৯টি। এসব মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হলে সরকারের ব্যয় হবে ১০৯ কোটি ৫৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬১০ টাকা। আর অনুমোদনহীন ও বিনা অনুদানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ২ হাজার ৭৯৩টি। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিবছর ব্যয় হবে ২০১ কোটি ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭০ টাকা।