রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামের দত্তের বাড়ির ৮ম শ্রেনীর ৬ মাসের অন্তঃস্বত্তা মাদ্র্রাসা ছাত্রীকে গর্ভপাত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে। ওই ছাত্রী একই বাড়ির মোঃ রফিকের মেয়ে। একই বাড়ির গ্রাম্য মাতাব্বর মোঃ শহিদ উল্যাহর লম্পট ছেলে মোঃ শামীম এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রী লম্পট শামীমের আপন চাচাতো বোন। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনা স্থলে গেলে শামীমের পিতা শহিদ কৌশলে ছাত্রী ও তার মাকে অন্যত্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।
সূত্রে জানায়, উপজেলার ইছাপুর গ্রামের দত্তের বাড়ির শহিদের লম্পট ছেলে মোঃ শামীম দীর্ঘদিন থেকে লতিফগঞ্জ মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী ও নিজ চাচাতো বোনকে বিয়ের প্রলোভনে অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছিলো। এরই সূত্র ধরে ওই ছাত্রী ৬ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গত ৫ জুন বিষয়টি জানাজানি হলে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে শামীমের পিতা শহীদ গোপনে ৬ মাসের সন্তানকে বের করতে ওই ছাত্রীকে প্রথমে চাঁদপুর ও পরে নোয়াখালীর মাইঝদীতে নিয়ে গর্ভপাত করতে নিয়ে যায়। এতে ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে অবস্থার অবনতি হলে লম্পট শামীমের পিতা শহীদ একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ম্যানেজারের দ্বারস্থ হয়ে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করে। এঘটনা জানাজানি হলে শহীদের ছেলে শামীম অন্যত্র সরিয়ে রেখে গ্রামের আমির হোসেন কালু নামের দিনমজুরের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। দিনমজুর আমির হোসেন কালু বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান, দিনমজুরী করে সংসার চালাই। মাতাব্বর সহিদ আমাকে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আটক করে আমার গোপনাঙ্গ ধরে টানাটানি করে এবং ছাত্রীর গর্ভে আমার সন্তান স্বীকার করতে চাপ সৃষ্টি করে। নতুবা টাকা দিতে বলে। এতে আমার স্ত্রী হার্ট এ্যাটাক করে। অভিযুক্ত শামীমের পিতা গ্রাম্য মাতাব্বর শহিদ জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আমার ছেলে, ছাত্রী ও তার মা কেউ বাড়িতে নেই। ইছাপুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হাবিব মীর জানান, সহিদ নিজের ছেলে শামীমের কূকীর্তিকে ধামাচাপা দিতে মজুরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
ইছাপুর ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ লিটন জানান, সহিদ ও তার ছেলে শামীম লম্পট প্রকৃতির লোক। অতীতেও এলাকায় কোন ঘটনা ঘটলে সবসময় ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। আমি এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে শামীমের বিচার দাবি করছি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম