বিদেশ ডেস্ক
কনজারভেটিভ পার্টির দলীয় প্রধানের পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। শুক্রবার তিনি পদত্যাগ পত্র দেন। এইদিনই ছিলো দলীয় প্রধান হিসেবে তার শেষ দায়িত্বপালন। ফলে নিয়মানুযায়ী প্রধানমন্ত্রী পদও আর থাকছে না তার। তবে কনজারভেটিভ পার্টি তাদের নতুন নেতা নির্বাচন না করা পর্যন্ত তিনি অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব পালন করে যাবেন। গত মাসেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন মে। ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে তার পরিকল্পনায় সমর্থন দেয়নি মন্ত্রিসভা ও পার্লামেন্টের এমপিরা। ফলে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন অনেকদিন ধরেই ডাউনিং স্ট্রিট থেকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসার পদত্যাগ দাবি করে আসছেন টোরি এমপিরা। তিনবার বেক্সিট ভোটে হেরে যাওয়ায় ব্যাপক চাপের মুখে ছিলেন মে। এদিকে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, থেরেসা মে সরে যাওয়ার পর তিনি নির্বাচনে লড়বেন।
মে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর কনজারভেটিভ দলের ১১ এমপি দলীয় প্রধান হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন। যিনি জিতবেন তিনিই হবেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। জুলাইয়ের শেষের দিকে নতুন দলীয় প্রধানের নাম ঘোষণা হতে পারে। ২০১৬ সালে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া(ব্রেক্সিট) বিষয়ক গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় আসার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরানের পদত্যাগের পর থেরেসা কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান নির্বাচিত হন এবং মার্গারেট থ্যাচারের পর দ্বিতীয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ওই বছর ১৩ জুলাই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন।