মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত তানিয়া কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত সোমবার বিকালে ঢাকার মহাখালী থেকে কটিয়াদীর বাড়িতে আসার জন্য স্বর্ণলতা বাসে ওঠেন তিনি। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসটি কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে বাসের সব যাত্রী নেমে গেলে গাড়ির চালক ও তার সহকারী কৌশলে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড থেকে চার-পাঁচজনকে যাত্রীবেশে গাড়িতে তোলেন।
বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে দুই কিলোমিটার দূরবর্তী ভৈবর-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গজারিয়া জামতলী নামক স্থানে তানিয়ার লাশ পাওয়া যায়। চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণের পর তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন।
পরে কটিয়াদীর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন তানিয়ার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধর্ষণের ভয়ে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পড়ে তানিয়া মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করেছিলেন ওসি। কিন্তু মরদেহ ময়নাতদন্তের পর ধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথা জানান চিকিৎসক।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক রমজান মাহমুদ বলেন, ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও আঘাতজনিত কারণে ওই তরুণীর মৃত্যুর আলামত মিলেছে। এছাড়া ডিএনএ ও প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকালে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। পরে রাতেই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তানিয়ার বড় ভাই মরদেহ বুঝে নেন।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় বাসচালক নুরুজ্জামান ও তার সহকারী মিলন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।