১.ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় ‘সাইলেন্ট কিলার’ বা নীরব ঘাতক। এর কারণে হার্টে সমস্যা দেখা দিতে পারে, মানুষ স্ট্রোক করতে পারে, কিডনিতে ও মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্লাড প্রেসার কমাতে চিকিৎসকরা সবসময় পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কলা পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ। আপনার একদিনে যতোটুকু পটাশিয়াম দরকার একটি গড়পড়তা আকারের কলায় তার ১২ শতাংশ থাকে। এমনকি হার্ভার্ড স্কুল অব হেলথও ব্লাড প্রেসার কমানোর জন্য পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
২.ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ: কলা ফাইবার সমৃদ্ধ। অর্থাৎ, এটি আশযুক্ত খাবার। আপনার একদিনে যতোটুকু ফাইবার প্রয়োজন একটি গড়পড়তা আকারের কলায় তার ১২ শতাংশ থাকে। ফাইবার তথা আঁশযুক্ত খাবারের অনেক উপকারিতা আছে। এটি কলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়, বাওয়েল মুভমেন্ট স্বাভাবিক রাখে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে ও শরীরের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে এটিই আপনার জন্য ভালো সমাধান। তাছাড়া কলা খেলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণও হয়।
৩.ক্যানসার প্রতিরোধক: কলার আরেকটি অন্যতম গুণ হচ্ছে এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর ক্যানসার রিসার্সের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি যদি খাদ্য তালিকায় নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার রাখেন তাহলে তা কলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তাছাড়া ভিটামিন সি ‘সম্ভবত’ খাদ্যনালীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। আপনার একদিনে যে পরিমাণ ভিটামিন সি প্রয়োজন একটি কলায় তার প্রায় ১৭ শতাংশ থাকে। এই গবেষণা শতভাগ সন্তোষজনক নাও হতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর হবে না।
৪.স্পোর্ট ড্রিংকের বিকল্প: আপনি যদি স্পোর্ট ড্রিংকের বিকল্প হিসাবে কিছু খুঁজতে চান তাহলে খুব বেশি ভাববার প্রয়োজন নেই। অ্যাপালাচিয়ান স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় উঠে এসেছে আপনি যদি কোনো কাজ শুরুর আগে বা কাজের মাঝখানে কলা খেয়ে নেন তাহলে তা স্পোর্ট ড্রিংকের মতোই কাজ করবে। আপনার শরীরে চঞ্চলতা ফিরিয়ে আনবে ও বেশি পরিমাণে কাজ করার শক্তি তৈরি হবে। কলায় যে পরিমাণ শর্করা আছে তা তা দ্রুতই এনার্জিতে পরিবর্তন হয়। তাছাড়া পটাশিয়াম ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৫.হাড় শক্ত করে: যারা হাড় শক্ত করতে চান কলা তাদের জন্য খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে। তাছাড়া কলা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।