মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে মাসুদপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি ও নিহতদের স্বজনরা।
নিহত মিলন উপজেলার তারাপুর মন্ডলপাড়ার বেলাল হোসেন কালুর ছেলে। আর সেনারুল একই গ্রামের আফসার উদ্দীনের ছেলে। মিলনের এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার কোমরে গুলির দাগ রয়েছে। আর সেনারুলের পাঁজরে গুলির দাগ রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ সরোয়ার জানান, ‘সোমবার দিবাগত রাতে মিলন ও সেনারুলসহ কয়েকজন বাংলাদেশি ভারতে গরু আনতে যায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভারতের ৭৮ বিএসএফ শোভাপুর ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মিলন। গুলিবিদ্ধ হন সেনারুল।
পরে মিলনের মরদেহ ও সেনারুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন তাদের সহযোগিরা। সেনারুলকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে উপজেলার মনাকষা এলাকায় তার মৃত্যু হয়। নিহতরা ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গরু চোরকারবারি দলের সদস্য।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানোর কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)।
শিবগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, বিএসএফের গুলিতে নিহত মিলন ও সেনারুলের মরদেহ শিবগঞ্জ থানায় হয়েছে।