গত বছরের রোজার ঈদে নায়ক শাকিব খানের ‘সুপার হিরো’ ছবি মুক্তির পর সেটির কুইজ বিজয়ী ভাগ্যবান হিসেবে একটি মোবাইল ফোন উপহার পেয়েছিলেন মৌলভীবাজারের শায়েস্তাগঞ্জের ছেলে আশরাফুল ইসলাম নাঈম। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হার্টবিট প্রোডাকশন হাউজের উদ্যোগে সে সময় পুরস্কার নিতে ঢাকা এসেছিলেন তিনি।
সেবারই এফডিসিতে প্রথমবার স্বচক্ষে শাকিব খানকে দেখেছিলেন নাঈম। শুটিংয়ের ফাঁকে নাঈমের হাতে পুরস্কারের মোবাইল ফোনটি তুলে দিয়েছিলেন নায়ক শাকিব খান। সব মিলিয়ে সে সময় নাঈম মাত্র পাঁচ মিনিট শাকিবের সান্নিধ্যে ছিলেন। আর তাতেই শাকিবে মুগ্ধ এই যুবক।
সেদিন নাঈম কতটা মুগ্ধ হয়েছিলেন তার প্রমাণ রাখলেন আজ ২৮ মার্চ শাকিব খানের জন্মদিনে। শায়েস্তাগঞ্জের রাস্তাঘাট, অলিগলি তিনি ভরে ফেলেছেন প্রিয় নায়ক শাকিব খানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে। পুরো শহরকে পোস্টারময় করে তুলেছেন এই শাকিবভক্ত।
এ সম্পর্কে নাঈম বলেন, ‘প্রিয় মানুষের জন্মদিনে একটু অন্যরকম ভাবে শুভেচ্ছা জানাতে চেয়েছি। প্রথমে চাচাতো ভাই মিন্টু ও গ্রামের আরেকজন শাকিবভক্ত হৃদয়কে বিষয়টা জানাই। তারা আমার এই উদ্যোগে সাড়া দেয়। আইডিয়াটা আমার হলেও পুরো আয়োজনটা আমরা তিনজন মিলে নিজেদের খরচে করেছি।’
কিন্তু নায়ক শাকিব খানের নজরে কি তার একনিষ্ঠ ভক্ত নাঈমের এই উন্মাদনা ধরা পড়েছে। না পড়লেও হয়তো সংবাদ মাধ্যমের বদৌলতে চোখে পড়বে, নয়তো জন্মদিনের ব্যস্ততায় নাও পড়তে পারে। এমন হতে পারে, বিশেষ এই দিনেও হয়তো তার কোনো ছবির শুটিং আছে। কারণ তিনি তো ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে ব্যস্ত নায়ক।
শাকিব খান ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসেবে ৩৯ বছর পেরিয়ে ৪০ বছরে পা দিলেন ঢালিউডের এই শীর্ষ তারকা। শুভ জন্মদিন। তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৯ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে।
১৯ বছরের কেরিয়ারে শাকিব দেড় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। নায়িকাদের মধ্যে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে তার জুটি সবচেয়ে সুপারহিট। একসঙ্গে ৭০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তারা। অভিনয় প্রতিভা দেখিয়ে তিন বার সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন শাকিব।