রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের পৈতপুর কামার বাড়ির আফাজ উদ্দিনের মেয়ে দুই সন্তানের জননী নাজমা আক্তারকে তার পাষন্ড স্বামী তোফায়েল আহম্মদ শশুর বাড়ি থেকে চাহিদা মত টাকা না পাওয়ায় শনিবার মধ্য যুগীয় কায়দা করে জোর পূর্বক ২টি সাদা চেক ও ৩টি সাদা ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে পালিয়ে যায়। নির্যতাতিত স্ত্রী রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
সূত্রে জানায়, পারিবারিক ভাবে ২০০৪ সালে জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের নাজির আলী তপদার বাড়ির মুসলিম মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহম্মদের সাথে নাজমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ে পর তোফায়েল সৌদীতে যাওয়ার জন্য হাওয়াত হিসাবে ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে। মেয়ের সংসারের সুখের কথা চিন্তা নাজমার প্রবাসী পিতা আফাজ উদ্দিন জামাই তোফায়েলকে এ টাকা দেয়। কিন্তু তোফায়েল সৌদী আরব গিয়ে ঠিকমত কাজ না করে বিভিন্ন সময় আকামা সহ বিভিন্ন অযুহাতে মোট ৭ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু নাজমাকে বাড়িতে ঠিকমত টাকা পয়সা না দিয়ে কষ্ট দেয়। এ ব্যাপারে নাজমা কিছু বললে সে প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে যায়।এবং যখনি বাড়িতে আসে মারধর করে। এ নিয়ে কয়েকবার শালিশী বৈঠক হয়েছে।
নজমাা আক্তার বলেন, ২টি সন্তারের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর অনেক শারিরিক মানষিক নির্যাতন কষ্ট সহ্যকরে জীবন কাটিয়ে আসছি। বার বার বাপের বাড়ি থেকে ৭/৮ লক্ষ টাকা নিয়ে দিয়েছি। তবুও তার চাহিদা মিটে না, টাকা পয়সার কথাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে স্বামী, তার ছোট ভাই সবুজ, বোন ও ভগ্নিপতিসহ দফায় দফায় মারধর করে এবং ২টি সাদা চেক ও ৩টি সাদা ষ্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে বাপের বাড়িতে পেলে চলে যায় এবং যাওয়ার কাউকে কিছু ন বলা এবং আইনের আশ্রয় নিলে মেরে ফেলার হুমকী দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল পাটোয়ারী জানান, ঘটনাটি নাজমা পরিবারের লোকজন আমাকে জানায়, নাজমাকে তার স্বামী মারধর করার ঘটনায়, আমরা আরো কয়েকবার শালিশী বৈঠক করেছি, ২টি বাচ্ছার দিকে তাকিয়ে উভয়কে মিলিয়ে দিয়েছি।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর