বিদেশ ডেস্ক
সিরীয় সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার ইরান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সাথে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) জিহাদিদের নিয়ন্ত্রণে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের একটি মাত্র এলাকা রয়েছে। এদিকে ওয়াশিংটন দেশটি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিয়েছে।
এদিকে, চলতি সপ্তাহে কূটনৈতিক তোড়জোড়ের লক্ষ্য সিরিয়ায় আট বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধ করা। সিরিয়ায় চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সর ফাঁকে আন্তর্জাতিক আইএস বিরোধী জোটটি বৈঠকে বসবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ওয়ারশ’তে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নেবেন।
এর আগে কৃষ্ণ সাগর উপকূলীয় নগরী সোচিতে এক বৈঠকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সমর্থক পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থক তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান আন্তঃসিরীয় আলোচনার জন্য পরবর্তী বৈঠকে বসার ব্যাপারে সম্মত হন।
বুধবার ল্যাভরোভ বলেন, ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতির সমাধানের উপায় খুঁজতে প্রস্তুত আছি। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’
২০১৭ সাল থেকে সিরিয়া ইস্যুতে তিন দেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক হচ্ছে। তারা চতুর্থবারের মতো আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন।
এদিকে শনিবার মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সহায়তায় সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ)-এর কুর্দি ও আরব যোদ্ধারা সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দির এজোর প্রদেশে জিহাদিদের ‘সর্বশেষ’ ঘাঁটি দখলের জন্য অভিযান শুরু করেছে।
২০১৪ সালে জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়া ও ইরাকের একটি বড় অংশ দখল করে ‘খিলাফত’ ঘোষণা দেয়। কিন্তু এখন তারা তাদের অধিকাংশ দখলকৃত এলাকা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অল্প কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।
ডিসেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে ওই অঞ্চল থেকে প্রায় ২ হাজার মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে ঠিক কখন এই সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এখনো তা বলা হয়নি।