খেলা ডেস্ক
ট্র্যাকে যখন দৌড় শুরু করতেন, তখন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁর সঙ্গে দৌড়াত ‘দ্বিতীয়’ হওয়ার জন্য। স্প্রিন্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন সর্বকালের সেরা একজন হয়েই। এরপর উসাইন বোল্ট নজর দিয়েছিলেন নিজের স্বপ্নপূরণের দিকে। ট্র্যাকে তো অনেক ছড়ি ঘুরিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল ফুটবল মাঠেও ছড়ি ঘোরাবেন। তবে ছড়ি ঘোরানোর ইচ্ছেটা বেশি দিন টিকল না জ্যামাইকান ক্রীড়াবিদের। ফুটবল থেকে একটু তাড়াতাড়িই অবসর নিয়ে ফেললেন তিনি।
পেশাদারি ফুটবলারদেরও চমকে দিয়েছিলেন বোল্ট। স্প্রিন্টের ক্ষিপ্রতা নিয়েই থাকতেন বল দখলের লড়াইয়ে। গত বছর বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনুশীলন করেছিলেন বোল্ট। তখন তার খেলায় মুগ্ধও হয়েছিলেন মারিও গোটশে, মার্কো রয়েসরা। এমনকি নরওয়ের দল স্ট্রমসগডসেটের হয়ে নরওয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষেও মাঠে নেমেছিলেন। সেবার তার গায়ে ছিল ‘৯.৫৮’ জার্সি। এমনকি ‘সকার এইড ২০১৮’ দলের অধিনায়ক হিসেবেও নেমেছিলেন ‘৯.৫৮’ নম্বর জার্সি পড়ে।
তবে নতুন বছরের শুরুতে ফুটবলে আরও গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলেন। সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে অনুশীলনও শুরু করেছিলেন। কিছুদিন আগেই জোড়া গোলে দলকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও বোল্টের ঠাঁই হচ্ছে না পেশাদারি ফুটবলে। জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি নিয়ে মতবিরোধের কারণেই এই সমস্যা। মেরিনার্স ছাড়াও আরও দুই একটি দল নাকি তাঁকে দলে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু বোল্টের মোহভঙ্গই হয়েছে এই ঘটনায়। ফুটবলকে বিদায়ই বলে দিয়েছেন তিনি।
ফুটবলের ক্লাব সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি বলেই এই সিদ্ধান্ত তাঁর, ‘আমি বলব না যে আমার সময়টা খুব একটা খারাপ গিয়েছে, কিংবা আমি মানিয়ে নিতে পারিনি। তবে যেমনটা চেয়েছি, তেমনটা হয়নি। তবে ফুটবল জীবনটা আসলেই খুব ভালো একটা অভিজ্ঞতা। একটা দলের সঙ্গে এভাবে থাকতে পারা আসলেই অনেক বড় অভিজ্ঞতা। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে এটা অনেক আলাদা। যত দিন ছিলাম, তত দিন খুবই উপভোগ করেছি।’
মাঠে তার এই শেষ। আর কখনো তাকে মাঠে দেখার আশা করাটা সম্ভবত ভুলই হবে। তিনি নিজেই স্বীকার করলেন, ‘আমি অনেক কিছুই করতে চেয়েছি, করেছি। তবে আমার মাঠের জীবনটা এখানেই শেষ।’
তবে মাঠের পরবর্তী জীবনে কী করবেন, তা নিয়েও কিছুটা চিন্তা ভাবনা করেছেন বোল্ট, ‘আমি সম্ভবত ব্যবসায় মনোযোগ দিচ্ছি। মাঠের খেলা বাদেও আরও অনেক কিছু করার মতো আছে জীবনে। সামনে অনেক সম্ভাবনা আছে। তবে আমি ব্যবসাটাই বেছে নেব।’