সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গাড়ি বহরে হামলায় ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা ১৪ আসনের ধানের শীষ প্রার্থী সৈয়দ আবু বক্কর সিদ্দিক (সাজু)। এ কারণে নির্বাচন প্রচারণায় অংশ না নিয়ে প্রতিবাদ সম্মেলন যোগ দেন তিনি।
তবে শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় থেকে দুপুর পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালান আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসলামুল হক আসলাম।
বিএনপি প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক সময় নিউজকে বলেন, ‘গণসংযোগে নামতে পারছি না। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকালে স্মৃতিসৌধে গিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করি। এর কিছুক্ষণ পরেই আওয়ামী লীগের গুণ্ডা বাহিনী আক্রমণ করে। সেখানে আমার ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়। এর প্রতিবাদে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দারুদ সালাম রোডের দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলার দায়ে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হবে।’
‘তবে নির্বাচনী মাঠে প্রায় সহস্রাধিক নেতা-কর্মী প্রচার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা ঢাকা-১৪ আসনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে লিফলেট ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন’ বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, সকাল ৮টায় নির্বাচনী গণসংযোগ মাজার রোড থেকে শুরু করে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যান আসলামুল হক আসলাম। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দর সঙ্গে যোগ দেন।
আসলামুল হক আসলাম বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কারণে শুক্রবার সকালে গণসংযোগে নামলেও দুপুর ১২টার পর বাসায় চলে আসি। সন্ধ্যায় দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাদাভাবে উঠান বৈঠক হবে। শনিবার সকাল থেকে আবারও প্রচারণা শুরু হবে ‘
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। দুপুরে একজন ফোনে জানিয়েছে। তবে সকাল ৮টা থেকে গণসংযোগ করতে করতে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করি। প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ স্মৃতিসৌধ থেকে চলে যাওয়ার পর নেতাকর্মীদের নিয়ে চলে আসি। সেখানে কিছু মাস্ক পরা লোককে দেখা গেছে।’
‘বিএনপির উপর আক্রমণের বিষয়টি শোনার পর সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আক্রমণের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এর জন্য আমি নিন্দা জানাচ্ছি। যারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করি। সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে। তাই নিবার্চনে আমার জয়লাভের জন্য বিএনপির উপর আক্রমণের প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।