একজন অধিনায়ককে সাফল্য-ব্যর্থতা দুটোর সঙ্গেই বসবাস করতে হয়। ব্যর্থ হলে সমালোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে ঘরের মাঠে সরফরাজ আহমেদের ব্যর্থতার পরিসংখ্যান, বিশেষ করে টেস্ট ফরমেটে; একেবারে কোণঠাসা করে দিয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ককে। চারদিক থেকে তার পদত্যাগের দাবি উঠছে। সরফরাজ নিজেও জানালেন, প্রয়োজন হলে নেতৃত্ব ছাড়তে রাজি আছেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে হার, সরফরাজকে নতুন করে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। ঘরের মাঠে সর্বশেষ সাত টেস্টের চারটিতেই হেরেছে পাকিস্তান। এমতাবস্থায় নেতৃত্ব ছাড়া দরকার হলে সেটাই করবেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কঠিন সফর। এই সফরেও অবশ্য সরফরাজকে অধিনায়ক করেই টেস্ট দল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তার আগেই পাকিস্তান অধিনায়ক জানালেন, প্রয়োজন হলে নেতৃত্ব ছাড়তে রাজি আছেন।
সরফরাজ বলেন, ‘যখন সবকিছু এমন হয়, আপনি তো ভাববেনই। দেখা যাক কি হয়। সামনে কঠিন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর রয়েছে। তার আগে যদি আপনি এটা নিয়ে ভাবতে থাকেন, তবে তো সেটা কারও উপকারে আসবে না। যদি আমি ভুল করি, আর সেটার জন্যই দল হারে, তবে আমি অবশ্যই এটা নিয়ে ভাবব। যদি আমার চেয়ে ভালো কেউ থাকে, যিনি টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন, তবে তাকেই দেয়া উচিত।’
শুধু সরফরাজই নন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দুই সিনিয়র আজহার আলি আর আসাদ শফিকের ক্যারিয়ারও। সিরিজ নির্ধারণী শেষ টেস্টে প্রথম ইনিংসে তারা দুজনই সেঞ্চুরি করেন, কিন্তু শেষ দিনে এসে কাণ্ডজ্ঞানহীন আউটে দলকে হারের মুখে ঠেলে দেন। আবুধাবিতে সিরিজের প্রথম টেস্টেও মাত্র ১৭৬ রান তাড়া করতে গিয়ে এই দুজন বাজেভাবে আউট হয়ে ফিরেছিলেন।