পাঁচজন ফুটবলার মুগ্ধ করেছে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডেকে।
কোন খেলোয়াড়েরা আপনাকে মুগ্ধ করেছে?
যেকোনো টুর্নামেন্ট শেষে বা লিগের মাঝপথে জাতীয় দলের কোচের কাছে প্রশ্নটি থাকে অবধারিত। ফেডারেশন কাপ শেষে জেমি ডের উদ্দেশেও থাকল সে প্রশ্ন। প্রথমবারের মতো মাঠে বসে ঘরোয়া ফুটবল দেখার পর খোলামেলা জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের এই ইংলিশ কোচ। জানিয়েছেন পাঁচজন খেলোয়াড়ের নাম, যারা তাঁকে করেছেন মুগ্ধ।
জেমির সেরা পাঁচজনে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী দলের সদস্য আছেন দুজন, রানার্সআপ বসুন্ধরার আছেন একজন। বাকি দুজন বসুন্ধরার বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। কারা সেই পাঁচ ফুটবলার, ‘অনেকের খেলাই আমার ভালো লেগেছে। তবে জনি (মাসুক মিয়া), বিপলু (বিপলু আহমেদ), ইয়াসিন (ইয়াসিন খান), তপু (তপু বর্মন) ও সোহেল রানা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এদের মধ্যে শুধু ফাইনালের পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে পছন্দের তালিকায় ঢুকেছে সোহেল রানা।’ এই পাঁচজনই জাতীয় দলের খেলোয়াড়। জাতীয় দলের বাইরে থেকে অন্য কারও খেলা ভালো লাগলেও এখনই জানাতে চান না কোচ।
খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত প্রশংসা ছাড়াও ফেডারেশন কাপের ফাইনালকে দুর্দান্ত ম্যাচ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ। খেলা শেষ হওয়ার একটু আগে মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়ায় মারামারির দৃশ্য দেখা হয়নি তাঁর। তবে শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।
পুরো টুর্নামেন্টে কোন দলের খেলা ভালো লেগেছে সেটাও জানিয়েছেন অকপটে। অবাক করা বিষয় হলো জেমির সেরা দলটি টুর্নামেন্টের ফাইনালিস্ট তো নয়-ই, সেমিফাইনালেও খেলেনি। আবার মুগ্ধ করা পাঁচ ফুটবলারের একজনও নেই সেই দলে। ৩৮ বছর বয়সী কোচের চোখে ভালো খেলেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। শেষ মৌসুমে স্বাধীনতা কাপ জিতে হইচই ফেলে দিয়েছিল তারুণ্য নির্ভর আরামবাগ। নতুন মৌসুমে প্রায় সেই দলটিকেই ধরে রাখায় মারুফুল হকের শিষ্যদের মাঠের পারফরমেন্সও আলাভাবে নজর কেড়েছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়াটা দারুণ হওয়ায় ঝড়ের গতিতে আক্রমণে উঠে, আবার ট্র্যাক ব্যাকও করে মৌমাছির চাকের মতো। স্থানীয় খেলোয়াড়দের গড় বয়স ২০ এর কাছাকাছি হওয়ায় দলের মধ্যে এই সংগতি।
সদ্য সমাপ্ত ফেডারেশন কাপে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে ৩-২ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। আবাহনীর বিপক্ষে হারা ম্যাচেও দুইবার এগিয়ে গিয়েছিল তারুণ্য নির্ভর দলটি। শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় বিতর্কিত গোলে। কিন্তু এই দলের খেলাতেই মজেছেন জাতীয় দলের কোচ, ‘প্রতিটা দলেরই ভালো ও মন্দ দিক আছে। সবকিছু মিলিয়ে আরামবাগের খেলা আমার বেশি ভালো লেগেছে। পুরো দলটি তারুণ্য নির্ভর হলেও ওরা বেশ পরিণত ফুটবল উপহার দিয়েছে।’ অনূর্ধ্ব ২৩ দলে আরামবাগের পাঁচজন খেলোয়াড় ডেকেছেন জেমি।
আরামবাগের পর সাইফ স্পোর্টিংই নাকি তাঁর দ্বিতীয় পছন্দের দল, ‘আরামবাগের পরে আমার দ্বিতীয় পছন্দের দল সাইফ। গ্রুপপর্বে তারা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে।’ এএফসি অনূর্ধ্ব ২৩ বাছাইপর্বের জন্য যুব দলে সর্বোচ্চ সাতজন খেলোয়াড় ডাক পেয়েছেন সাইফ থেকে।