একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন খালি পায়ে ঘাসের ওপর কিছুক্ষণ হাঁটলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে মারাত্মক কিছু রোগ প্রতিরোধ করা যায়। খালি পায়ে ঘাসে হাঁটলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবে-
১.শরীরে যদি প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তাহলে কোষের ক্ষতি তো হয়ই, সেই সঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।। আবার হৃদরোগেরও ঝুঁকি বাড়ে। খালি পায়ে হাঁটলে মাটিতে উপস্থিত ইলেকট্রন শরীরে প্রবেশ করে অনেকটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো কাজ করে। ফলে প্রদাহ বাড়ার ঝুঁকি কমে যায়।
২. প্রতিদিন কিছুক্ষণ খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের নিচের স্নায়ুগুলো অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। তখন রক্তচাপ কমতে শুরু করে।
৩. পায়ের নিচে একাধিক নার্ভ থাকে। ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটলে সেগুলো সক্রিয় হয়ে শরীরের মধ্যে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে। এতে ধীরে ধীরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
৪. খালি পায়ে হাঁটলে রক্তের সেলগুলো দারুণভাবে সক্রিয় হয়ে যায়। তখন রক্ত ঘন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
৫. খালি পায়ে হাঁটলে শরীর থেকে অনেক নেগেটিভ শক্তি বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে মানসিক চাপও কমে। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ায় রাতের ঘুমও ভালো হয়।
৬. যান্ত্রিক জীবনে মানুষের সঙ্গে মাটির সংযোগটা একেবারে কমে গেছে। খালি পায়ে হাঁটলে মানুষের ভেতরের মানবিক অনুভূতিগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। অন্যদিকে পায়ের তলায় থাকা কিছু প্রেসার পয়েন্টও সক্রিয় হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্ক এবং শরীর আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে ।
৭. খালি পায়ে কিছুক্ষণ মাটিতে হাঁটলে মস্তিষ্কের ভেতরে থাকা নিউরনগুলো মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে সক্রিয় হয়ে যায়। তখন একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, তেমনি বুদ্ধিও বাড়তে শুরু করে।
৮. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ভোর বেলা, খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটলে পায়ের তলায় থাকা একাধিক প্রেসার পয়েন্টে চাপ পড়তে শুরু করে। এই সব প্রেসার পয়েন্টের সঙ্গে চোখের সরাসরি যোগ রয়েছে। ফলে পায়ের তলায় যত চাপ পরে, তত দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু হাঁটা নয়, খালি পায়ে প্রতিদিন কিছুক্ষণ ঘাসের উপর দাঁড়ালেও অনেক উপকার পাওয়া যাবে।