প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তরুণদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন। তাদের ভাবনা-চিন্তার কথা শুনবেন এবং তাদের সঙ্গে নিজের মতবিনিময় করবেন।
অনুষ্ঠানে প্রজন্মের সঙ্গে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে তরুণদের কাছ থেকে শুনবেন দেশ গঠনে তাদের পরিকল্পনা ও পরামর্শের কথা।
‘লেটস টক’ নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজক আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।
দেশের ইতিহাসে ‘প্রথমবারের মতো’ কোনো প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হচ্ছেন। আয়োজকরা জানান, বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার তারুণ্যের সময় নিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানাবেন।
তারা জানান, সারা দেশ থেকে আসা ১৫০ তরুণের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিভিন্ন পেশাজীবী, চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দেশ গঠনে উদ্যমী তরুণ প্রতিনিধিরা এ আয়োজনে অংশ নেবেন।
তরুণদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে উন্নত বাংলাদেশ গড়ায় বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সুযোগ পাবেন এ তরুণরা।
এ প্রসঙ্গে সিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস বলেন, তরুণরা যাতে দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে খোলামেলাভাবে আলোচনা করতে পারেন এবং নিজেদের ভাবনা ও সমস্যাগুলোর কথা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন সে জন্য সিআরআই নিয়মিত এ আয়োজন করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদকে নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে এ অনুষ্ঠানের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় তরুণদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে চেষ্টা করেন। সে জন্য তিনি তার কাছে সাধারণ মানুষের লেখা চিঠি পড়েন এবং নিয়মিত এগুলোর উত্তর দেন।
১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠানটি আয়োজনের কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে ২৩ নভেম্বর ঠিক করা হয়।