২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১০:০৪

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার হবে ব্যাংকের সুদের দুই শতাংশ বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী অর্থবছর থেকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এই হার কত হবে, সেটি নির্দিষ্ট না করলেও তিনি বলেছেন, ব্যাংক ঋণের সুদের চেয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার হবে দুই শতাংশ বেশি। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে আমানতের সুদের হার ৪ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মার্কেটে যা আছে, আমাদের সুদের হার তার চেয়ে দুই পারসেন্ট মিনিমাম বেশি রাখা দরকার এবং সেই অনুযায়ী এই হার নির্ধারণ করা হবে যথা সময়ে।’

সরকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে যেসব উদ্যোগ নেয় তার একটি হল জনগণের কাছ থেকে টাকা তোলা। এ জন্য বিক্রি করা হয় বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র। মেয়াদ অন্তুর একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ দেয়া হয় এ জন্য। লাভের টাকা তিন মাস অন্তরও তোলা যায়।

চলতি অর্থবছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে সুদের হার নির্দিষ্ট করা আছে ১১ থেকে ১২ শতাংশ। তবে এটি দুই বছর আগে আরও বেশি ছিল। ২০১৫ সালের ১০ মে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার গড়ে ২ শতাংশ করে কমিয়েছিল সরকার।

গত দুই বছর ধরে ব্যাংকে আমানতের সুদের হাম কমায় সঞ্চয়পত্রে ঝোঁক বেড়েছিল। বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে যে পরিমাণ অর্থ ধার করার লক্ষ্য ধরেছিল, নয় মাসেই তার দ্বিগুণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার নিম্নমুখী থাকায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি আরও বাড়ছে আর এ কারণে সুদের ব্যবস্থাপনায় সরকারকে আরও বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে।

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমায় বিশেষ করে প্রবীণরা বিপাকে পড়বে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘প্রবীণদের পক্ষে পক্ষে কোনো ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য করা সম্ভব নয়। তারা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকে নিরাপদ মনে করেন। সুদের হার কমায় তাদের জীবনধারণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা রাখা উচিত।’

দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ

 

প্রকাশ :জুন ৬, ২০১৭ ৩:০৯ অপরাহ্ণ