২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:২০

সুষ্ঠু নির্বাচন দিন তা না হলে করুণ পরিণতি হবে: মির্জা আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে মঙ্গলবার ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘ভালোয় ভালোয় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তা না হলে অতীতের একনায়কতন্ত্র কায়েম করে যারা ক্ষমতায় থেকেছেন তাদের মতো করুণ পরিণতি আপনাদের হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনে সাজার মেয়াদ আগের থেকে দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। আগে ছিল ২ থেকে ৫ বছর। এখন করা হয়েছে ২ থেকে ৭ বছর।’

সাজার মেয়াদ বাড়ানোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতাদের বিভিন্ন মামলায় সাজা দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতে চাইছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণ ও বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায় না। তারা জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে কোনো দিন ক্ষমতায় যেতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের লজ্জা লাগে না—এমন কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, বাকশাল করেছে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে আমাদের হাসি পায়।’

বেগম খালেদা জিয়া সব সময় সুষ্ঠু রাজনীতি করেন উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘২০৩০ ভিশনে দেশের ভবিষ্যতের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ১৯ দফার বিষয়গুলো নিয়ে ২০৩০ ভিশন প্রকাশ করেছেন বেগম জিয়া। দেশের ভবিষ্যতের জন্য যা করা দরকার এখানে তা রয়েছে।’

ভিশন ২০৩০ নিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনার জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যখন বলেছি, আপনারা এটার অনুকরণ করেছেন। এরপর থেকে তারা আর সমালোচনা করেনি।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগ স্লোগান দিয়েছে -গনতন্ত্রের আগে উন্নয়ন। কিন্তু এখন আর তারা এ স্লোগান দেয় না। কারণ বেসরকারি খাতে কোনো উন্নয়ন করছে না, পাবলিকখাতে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দিচ্ছে যাতে অর্থ হাতিয়ে নিতে সহজ হয়।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে বাংলাদেশের উন্নয়নের সব কার্যক্রম শুরু হয় এমন কথা জানিয়ে তার কয়েকটি উদাহরণ দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা শহীদ জিয়াকে নিয়ে যে বাজে মন্তব্য করেন তা লজ্জার। তারা অন্যায়ভাবে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে।’

ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন—বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ড্যাব মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

দৈনিক দেশজনতা/এমএম

প্রকাশ :জুন ৬, ২০১৭ ৩:১২ অপরাহ্ণ