বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বরফ আচ্ছাদিত মহাদেশ এন্টার্কটিকায় স্থায়ী বিমানবন্দর তৈরি করছে চীন। সেখানে বসবাস করা বৈজ্ঞানিকদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়া এবং এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটি।
এন্টার্কটিকায় অবশ্য এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া বিমানবন্দর তৈরি করেছে। চীনের এই বিমানবন্দর প্রস্তুত হলে সহজেই দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে উঠানামা করবে বিমান।
জানা গেছে, এন্টার্কটিকায় নির্মিত জংশন স্টেশন থেকে ২৮ কিমি. দূরে বরফে আচ্ছাদিত ওই অঞ্চলে বিমানবন্দরটি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব বিভাগের জরিপ অনুযায়ী, এন্টার্কটিকায় প্রচুর গ্যাস মজুদ রয়েছে। কিন্তু এখনও তার খোঁজ মেলেনি। চীনের বিজ্ঞানীরা ২০০৯ সালে দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে ২৫তম অভিযানের সময় ফিক্সড উইং বিমানের জন্য চার কিলোমিটার লম্বা ও ২৫ মিটার চওড়া বিমান ওঠানামার জায়গা তৈরি করে। ২০১০ সালে বরফে ঢাকা এই অঞ্চলে বরফের উপর চীন ফিয়িং নামে একটি বিমানবন্দরও নির্মাণ করে।
পৃথিবীর দুর্গমতম, উচ্চতম, শীতলতম, শুষ্কতম তথা নির্জনতম মহাদেশ এন্টার্কটিকা। দক্ষিণ মেরুর এই অঞ্চল সোনা, রুপা, কয়লা, প্লাটিনামের মত প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। আর এখানেই দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি বাতাস চলাচল করে।