অর্থনীীত ডেস্ক:
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের এ বছর প্রথম ছয় মাসে নিট লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি জনতা ব্যাংকসহ ৮ ব্যাংকের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকের দেড় সহস্রাধিক কোটি টাকার এ লোকসান ব্যাংকটির জন্য একটি রেকর্ড। ব্যাংকটিতে চলমান ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে এ লোকসানের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি দেশের ৫৭ ব্যাংকের মধ্যে ৮টি ব্যাংক লোকসানে পড়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যাংক তিনটি ও বেসরকারি পাঁচটি। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে বেশি লোকসানে নতুন তিন ব্যাংক। একটি বিদেশি ব্যাংকও লোকসানে পড়েছে।
টাকার অঙ্কে লোকসান সবচেয়ে বেশি সরকারি ব্যাংকে। বিশেষ করে জনতা ব্যাংকের অবস্থা খুবই নাজুক। বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংক লোকসান দিলেও তার পরিমাণ খুব বেশি নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ঋণ বিতরণে নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে। অতিমাত্রায় অনিয়মের ফলে ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে। সে কারণে এক সময়ের ভালো ব্যাংক জনতাও আজ লোকসানে পড়েছে। ইতিমধ্যে ব্যাংকটির ক্রিসেন্টসহ বড় কয়েকটি দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেকর্ড লোকসান ব্যাংকিং খাতের জন্য অশনি সংকেত। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংক ছিল প্রথম সারির। এ ব্যাংকের যথেষ্ট সুনামও ছিল। এখন সে ব্যাংক লোকসানে পড়ে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। এক সময় সুনামধারী বেসিক ব্যাংকেরও আজ একই পরিণতি। কেন যেন ধীরে ধীরে পুরো ব্যাংকিং খাত দুর্বল হয়ে পড়ছে। এসব বিষয়ে এখনই নজর দেয়া দরকার। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।