আদালত প্রতিবেদক:
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বিব্রতবোধের এ ঘটনা ঘটে। বেঞ্চের একজন বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনানির তালিকায় ছিল। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, অমিত তালুকদার ও অরবিন্দু কুমার রায়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ বিব্রত। এর কারণ ব্যাখ্যা করার রেওয়াজ নেই আদালতের। তবে শহিদুল আলমকে বিনাকারণে আটক রাখা হয়নি।
প্রসঙ্গত গত ৫ আগস্ট রাতে ধানমণ্ডির বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে একদল লোক শহিদুলকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ। এর পর তাকে রমনা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
পরে ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ড. শহিদুল আলম নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।
ওই সাক্ষাৎকারে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা মামলাটি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আরমান আলী তদন্ত করছেন।
এরই মধ্যে শহিদুল আলমের সমর্থনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, নোয়াম চমস্কি, অরুন্ধতী রায়সহ খ্যাতিমান একাধিক লেখক-বুদ্ধিজীবী তার পক্ষে বিবৃতি দেন। পেন ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনও তার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে।
সর্বশেষ আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা টিউলিপ সিদ্দিক।