নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকার পতনের মহালগ্ন উপস্থিত হয়েছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের ভোটারদের ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভিত্তিত্বে ভাগ করে ফায়দা লুটার অভিনব চক্রান্ত শুরু করেছে আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতারা। কিন্তু আর কোনো উপায় নেই। সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে দাপট থাকলেও চেহারায় ছিল অন্যমনস্কতা ও দুঃশ্চিন্তার ছাপ। তবে আমরা সুস্পষ্টভাবে আবার জানিয়ে রাখি, গণদাবি উপক্ষো করলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারে নেমেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্র ও সমাজের স্থিতি ভেঙে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছেন। দেশব্যাপী আবারো মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
‘জাতীয় ঐক্যের নামে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত হচ্ছে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আকস্মিকভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের আওয়ামী নেতার বক্তব্য অশুভ চক্রান্তের ইঙ্গিতবাহী। আবহমান বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্টকরে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে নেমে পড়েছেন ওবায়দুল কাদের গং।
রিজভীর অভিযোগ, আবারও নতুন করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বা নিজেরাই নাশকতার মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসব মামলা পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। আর কোনো উপায় নেই। কাজেই সাধারণ মানুষের দাবি উপেক্ষা করলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসা প্রতিশোধের রাজনীতি করে না। বিএনপির সময়ই মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পেরেছে। এ ধরণের গুজবের বিষয়ে বাংলাদেশের জনগনকে সতর্ক ও সজাগ।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর সরফত আলী সপু, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মো: মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।