কক্সবাজার থেকে, কায়সার হামিদ মানিক:
কক্সবাজার সদর রেঞ্জের আওতাধীন কলাতলী বন বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তার সহযোগীতায় সরকারী বন ভুমির পাহাড় কেটে ডাম্পার যোগে বিভিন্ন স্থাপনায় নির্মান কাজে মাটি পাচার অব্যাহত থাকলেও স্থানীয় বন বিভাগ নিরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছে বলে জানা গেছে। যার ফলে সাধারন মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, কলাতলী বন বিটের আওতাধীন দক্ষিন ঘোনার পাড়া জেলা প্রশাসকের নতুন বাস ভবনের পূর্বে পার্শ্বে সরকারি পাহাড়টি একই গ্রামের মৃত আবুল কালামের ৩ ছেলে চিহ্নিত ভুমিদস্যু উসমান, জুনাইদ ও বাচ্চু একটি বৃহত্তর সিন্ডিটে তৈরি করে স্থানীয় বন বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে উক্ত পাহাড় কেটে মাটি পাচার অব্যাহত রেখেছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উক্ত সিন্ডিকেট দীর্ঘ দিন ধরে সরকারী বন ভুমির পাহাড়টি দখল করে তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে মাটি পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সমতল ভুমি তৈরি করে তা কোটি টাকা দামে বিক্রি করার জন্য পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তাদের উক্ত পাহাড় কাটা ও মাটি পাচার কাজে কেউ বাধা প্রদান করলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি ধমকি সহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে থাকে বলে জানা যায়। তাই তাদের অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে মূখ খোলতে সাহাস পায় না। এ ভাবে সরকারী বন ভুমির পাহাড় কাটা ও মাটি পাচার অব্যাহত থাকলে কলাতলী বন বিটের সরকারি বন ভুমির চিহ্ন ও থাকবে না। যার ফলে কলাতলী বন বিটের সরকারী বন ভুমির জায়গা শূণ্যের কোটায় চলে আসছে। পাহাড় কেখো উসমান, জুনাইদ ও বাচ্চুর নিকট জানতে চাইলে সে প্রতিবেদক কে জানান, বিট কর্মকর্তাকে টাকা দিয়ে বন বিভাগের পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছি। এদের কে টাকা না দিলে পাহাড় কাটাতো দুরের কথা, পাহাড় থেকে এক মূঠো মাটি ও ধরতে দেবে না। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, সরকারী বন ভুমির পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম