নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিন ঢাকায় জনসভা করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই উপলক্ষে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকায় সমাবেশ করার। আমরা এই সমাবেশ করার জন্য সোহরাওয়ার্দি উদ্যান অথবা নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে করতে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেবো। নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার সকাল ১১টায় নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল হবে বলে জানান রিজভী। এছাড়া দলের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে জেলা-উপজেলায় খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও আশু রোগ মুক্তি কামনায় এই দোয়া মাহফিল হবে।
রিজভী বলেন, দেশনেত্রীকে অন্যায় সাজায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, তাকে বাইরে রেখে আরেকটি এক তরফা নির্বাচনের আয়োজন করা। আমরা বলে দিতে চাই, দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে এদেশে একতরফা নির্বাচন হবে না। অবিলম্বে বানোয়াট মামলা প্রত্যাহান করে ঈদের আগেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। কোটা নিয়ে ফের দীর্ঘসূত্রিতার কৌশল কোঠা সংস্কারের বিষয়ে সরকারের সচিব পর্যায়ের কমিটি দীর্ঘসূত্রিতার কৌশল নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, এখন সচিব পর্যায়ের কমিটি প্রায় সর্ব পর্যায়ের কোটা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। কিন্তু আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে কোটা সংস্কারের আরো প্রলম্বিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কোটার বিষয়ে আদালতের কোনো রায় নেই, পর্যবেক্ষণ আছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল চায় না তারা কোটা সংস্কার চায়। আবারো সব কোটা বাতিল করার প্রস্তাব মানেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবারো প্রতারণার কৌশল অবলম্বন। এটিও আরেকটি প্রহসন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের ঈদের আগেই মুক্তির দাবি জানিয়েছেন রিজভী বলেন, গত কয়েকদিন ঢাকা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।