খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির জেলা শহর থেকে অপহৃত চার গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের হাইস্কুল মাঠ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতরা হলেন- জেলা সদরের জোরমরম এবং শিবমন্দির এলাকার বাসিন্দা টোকাই ত্রিপুরা, সুকেন্দু ত্রিপুরা, সিন্দুরায় ত্রিপুরা ও মশা ত্রিপুরা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, সোমবার রাত থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা আটক চার ব্যক্তিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের হাইস্কুল মাঠ এলাকা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে আন্দোলনরতদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এর আগে চার গ্রামবাসীকে অপহরণের অভিযোগে সকাল থেকে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের পেরাছড়া, গিরিফুল ও শিবমন্দির এলাকায় গাছ ফেলে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়।
ফলে ওই সড়কে সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন হাজারও মানুষ।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা জানান, তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গ্রামবাসী সড়ক অবরোধ করেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার তিন দফা দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয় গিরিফুল ও গাছবান এলাকার গ্রামবাসী। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়।
৬ আগস্ট থেকে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল ভাইবোনছড়ার দেওয়ানপাড়ায় অবস্থান করে এলাকায় ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তুলছে, গিরিফুল থেকে পানছড়ি পর্যন্ত সব দোকানপাট (ভাইবোনছড়া বাজার ছাড়া) বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে এবং প্রত্যেক দোকানদারের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেছে।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা) এর কেন্দ্রীয়সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা জানান, এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের পার্টি কোনোভাবেই জড়িত নই এবং বিষয়টি আমাদের জানা নেই।