স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বিশ্বের অন্যতম এক স্বাস্থ্যকর খাবার মাছ। প্রোটিন,আয়োডিন, ভিটামিন ডি সহ প্রচুর পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ মাছে সবচেয়ে বেশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে। এই এসিড শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য খুব জরুরি। সব ধরনের মাছই শরীরের জন্য উপকারি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১০০ গ্রাম মাছ থাকা ভীষণ স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করেন গবেষকরা।
হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: দিন যতো যাচ্ছে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত মাছ খায়, তাদের হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। আমেরিকায় ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার মাছ খায়, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ১৫ শতাংশ কমে।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে: আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন এ প্রকাশিত একটি গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রতিদিন মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়লে কোলন ক্যানসার, গলার ক্যানসার, মুখের ক্যানসার ও প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার সহ বেশ কিছু ক্যানসার রোধ করে মাছ।
শরীরের বৃদ্ধিতে পুষ্টি যোগায়: শিশুর বেড়ে উঠার জন্য ফ্যাটি এসিড খুব জরুরি যা মাছে পাওয়া যায়। গর্ভবতী মায়েদের তাই ফ্যাটি এসিডের যোগান পেতে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে ৩৪০ গ্রামের বেশি মাছ না খাওয়ার কথাই বলেন পুষ্টিবিদরা। আর গর্ভবতীদের সিদ্ধ ছাড়া, কাঁচা মাছ না খাওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়, কারণ এতে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভুলে যাওয়া আলঝেইমার অর্থাৎ স্মৃতি লোপ পাওয়ার মতো রোগ ঠেকাতে ভূমিকা রাখে মাছ। মস্তিষ্কে গ্রে ম্যাটার অর্থাৎ মস্তিষ্ক কর্মক্ষম রাখার কোষ থাকে, তা বৃদ্ধি করে মাছ। গবেষণায় জানা গেছে প্রতি সপ্তাহে যারা মাছ খায়, তাদের মস্তিষ্কে গ্রে ম্যাটার বেশি থাকে।
হতাশা দূর করে মাছ: আরেকটি অদ্ভুত তথ্য হলো আপনার হতাশা কাটাতে মাছে থাকা ফ্যাটি এসিড ভালো ভূমিকা রাখে। যারা নিয়মিত মাছ খায়, তাদের মাঝে হতাশার প্রবণতা কম, এমনটাই দেখা গেছে গবেষণায়।
ভিটামিন ডি যোগান দেয়: দেহের জন্য খুব জরুরি ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভালো উৎস হিসেবে মাছকে বিবেচনা করা হয়।
ডায়াবেটিস রোধ করে: যারা নিয়মিত মাছ খান, তারা টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকেন। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ কমে যাওয়ার সমস্যা, আর্থাইটিস থেকেও মুক্ত থাকেন।
শিশুদের অ্যাজমা রোধ করে: গবেষণায় দেখা গেছে যেসব শিশু নিয়মিত মাছ খায়, তাদের অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি ২৪ শতাংশ কমে যায়। অবশ্য বড়দের ক্ষেত্রে এই বিষয়টা তেমন জোরালো না।
বয়সজনিত অন্ধত্ব রোধে: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি লোপ পেতে শুর করে। কারও কারও ক্ষেত্রে অন্ধত্ব দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত মাছ খান তাদের চোখের সমস্যা দূর হয়ে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।
ভালো ঘুম আনে: গবেষণায় জানা গেছে শরীরে ভিটামিন ডি ঘাটতির কারণে ঘুমের যে ব্যাঘাত হয়, তা দূর করে মাছ।