নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এই মুহূর্তে কিডনি কিংবা ক্যানসার এইটা মেইন ঘাতক নয়। মেইন ঘাতক কিন্তু আমাদের রোড এক্সিডেন্ট। শনিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্বোধন শেষে একথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এক্সিডেন্ট, বাংলাদেশে আমি সবসময় দাঁড়িয়ে কথা বলি। এই মুহূর্তে কিডনি কিংবা ক্যানসার এইটা মেইন ঘাতক নয়। মেইন ঘাতক কিন্তু আমাদের রোড এক্সিডেন্ট। আর এগুলো তো ধরেন, এক্সিডেন্ট হয় নানা কারণে। চালকের যে দোষটি, পাশাপাশি আমাদের গাড়ি যে ফিটনেসবিহীন থাকে। তারপর নানা ধরনের এই গাড়িগুলো যে চলে আপনার। যেই পরিমাণ গাড়ি আছে, তার বিরাট অংশের ফিটনেস নাই। সেগুলো রাস্তায় চলে। মানুষ ট্রাফিক আইন মানতে চায় না। এইটা হলো সবচেয়ে বড় কথা। ট্রাফিক আইন মানতে চায় না। কিন্তু এক্সিডেন্ট ঘটলেই তখন ঘটল কেন সেই জিজ্ঞাসাটা সবার কাছে চলে আসে। কিন্তু কেউ ট্রাফিক আইন সহজে মানতে চায় না। যত্রতত্র দৌড় দিবে। যত্রতত্র মানুষ দৌড় না দিলেও গরু একটা দৌড় দিলে, গাড়ির চালক সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কি না সেইটার দিকে কেউ তাকায় না।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হবে বলে এসময় জানান তিনি।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘আমি কিন্তু অলরেডি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে বলেছি, যে ভিডিও ফুটেজগুলো দেখে এবং তদন্ত করে সাংবাদিকদের যারা নির্যাতন করেছে কিংবা নিপীড়ন করেছে তাদের খুঁজে বের করতে এবং আমরা সেই ব্যবস্থা নেব।’
সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় ‘হেলমেট পরা’ কিছু যুবক। এ সময় মারাত্মক আহত হন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এপির এম এ আহাদ, প্রথম আলোর সাংবাদিক আহমেদ দীপ্তসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। হামলার বেশ কিছু স্থিরচিত্র এবং ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
পরে বুড়িচং থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।