২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:০১

ভুলতায় ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় বাড়লো সাড়ে ৫৮ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক:
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চার লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় বেড়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪০ কোটি পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ টাকা। তবে এটি আরও ৫৮ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৪৮৬ টাকা বাড়িয়ে ২৯৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৫ টাকা করার প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চার লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ ডব্লুউডি-১ এর আওতায় এ ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করে কমিটি। এ প্রকল্পে আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪০ কোটি পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ টাকা। নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৫৮ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৪৮৬ টাকা। সর্বমোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৯৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৫ টাকা।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রকল্প কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে এ প্রকল্পে ব্যয় বাড়াতে হচ্ছে।

বলা হয়, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চার লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বরাবর দ্বিতীয় স্তরে ১ হাজার ২৩৯ মিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভারসহ সমতলে আট লেন সড়ক এবং ঢাকা বাইপাস মহাসড়ক বরাবর প্রথম স্তরে ৬১৯ মিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভারসহ সমতলে আট লেন সড়ক বাঁধসহ চার লেন সড়ক ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, প্রকল্পটি জিওবি খাতে বাস্তবায়নাধীন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের আড়াআড়ি অতিক্রম করে যাওয়া ঢাকা বাইপাস জাতীয় মহাসড়ক এবং ওই সড়কে মিলিত হওয়া ভুলতা-রূপগঞ্জ এবং ভুলতা-আড়াই হাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের সংযোগস্থল ও ভুলতা বাজারকে যানজটমুক্ত করা সম্ভব হবে।

এছাড়া রাজধানী ঢাকা থেকে সিলেট এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন সহজতর ও গতিশীল হবে। পাশাপাশি ভ্রমণের সময় হ্রাস পাবে।

প্রকাশ :আগস্ট ৮, ২০১৮ ৫:৪২ অপরাহ্ণ