আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের আরও তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় তহবিল (ওয়ানএমডিবি) থেকে অর্থ আত্মসাৎ মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে বুধবার আদালতে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়।
নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদের (ওয়ানএমডিবি) অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ ব্যাংক হিসাবে জমা করেছিলেন।
তবে নাজিব এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০১৫ সাল থেকেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এসব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তিনি।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক গণমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়া জানায়, রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে তিনটি লেনদেনের মাধ্যমে নাজিব রাজাকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে প্রায় চার কোটি ২০ লাখ রিঙ্গিত বা এক কোটি মার্কিন ডলার স্থানান্তর করা হয়েছে। বিচারক আগের অভিযোগসহ এই অভিযোগ শুনানির জন্য বুধবার উচ্চ আদালতে স্থানান্তর করেন।
মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী, অর্থ পাচারের মামলায় ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়ে থাকে। আর পাচারকৃত অর্থের পাঁচগুণ বা ৫০ লাখ রিঙ্গিতের মধ্যে যেটা বেশি হবে তাই হবে জরিমানার পরিমাণ।
এর আগে মঙ্গলবার আরও কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী কমিশন (এমএসিসি)। সংস্থাটি তাকে ৪৫ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। নতুন এসব অভিযোগে অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রভৃতি মামলা হতে পারে। ২২ মে তাকে প্রথমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করে এমএসিসি।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এবং তার স্ত্রী রোজমা মানসুরের মালিকানাধীন বিভিন্ন বাড়ি থেকে প্রায় ২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ এবং হ্যান্ডব্যাগ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ এবং হীরার নেকলেস, ১৪টি টায়রা, ১৪০০ নেকলেস, ৫৬৭ হ্যান্ডব্যাগ, ৪২৩টি ঘড়ি, ২২০০টি আংটি, ১৬০০ ব্রোচ এবং ২৩৪টি সানগ্লাস।
১০ মে নাজিবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাহাথির সরকার। ১৪তম সাধারণ নির্বাচনে অবিস্মরণীয় জয় পেয়ে মাহাথির মোহাম্মদের শপথ নেয়ার দু’দিনের মাথায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।