স্পোর্টস ডেস্ক:
ফুটবল ভক্তদের জন্য শনিবার ছিল এক অর্থে উৎসবের রাত। যেদিন ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামলো রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্তাস। ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করলো রিয়াল। একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জানামায় গড়ল প্রথম ক্লাব হিসেবে টানা দুটি শিরোপা জয়ের কীর্তি। কদিন আগেই লা লিগা শিরোপাটাও ঘরে তোলায় ৫৯ বছর পর ডাবল জেতা হলো ক্লাবটি। আর রিয়ালের এতসব ইতিহাস গড়ার কারিগর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জোড়া গোল করে দলকে শিরোপা জেতালেন। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়লেন। যার সঙ্গে তুলনায় ফুটবল বিশ্ব ভাগ হয়ে যায় দুই ভাগে, সেই মেসিকে ছাড়িয়ে হলেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এক কথায় কার্ডিফের ফাইনালের মহানায়কে রূপ নিলেন রোনালদো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল মানেই অন্যতম আবাহ। কিন্তু লড়াইটা রিয়াল আর জুভেন্তাসের মধ্যে বলে একটু বেশিই রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছিল চারদিকে। একদিকে রিয়ালের আক্রমণ ভাগ, অন্যদিকে জুভদের রক্ষন। ইতালিয়ান জায়ান্টদের গোল পোস্টে আবার জিয়ানলুইজি বুফন। কিন্তু সব হিসেব এলোমেলো করে দিয়ে ম্যাচের ২০ মিনিটেই গোল করে রাতটা শুধুই নিজের করে নেওয়া শুরু রোনালদোর। এরপর জুভেন্তাস সমতায় ফিরেছে ৭ মিনিটের ব্যবধানে। কিন্তু ফিরলে কি হবে! দ্বিতীয়ার্ধে ৩ মিনিটের ব্যবধানে আরো দুই গোল হজম করতে হয় তাদের। যার দ্বিতীয়টি আসে পর্তুগিজ উইংগার রোনালদোর পা থেকে। আর এই গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোল করার কীর্তি গড়েন রোনালদো। ছাড়িয়ে যান মেসিকে। অথচ নক আউট পর্বের আগে মেসির গোল যেখানে ছিল ১১টি, সেখানে রোনালদোর গোল ছিল ২টি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সার যাত্রা কোয়ার্টারেই আটকে যাওয়ায় মেসিকে থামতে হয়েছে ১১ গোলেই।
মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার গোলটি করে নিজের আরেকটি মাইল ফলকও স্পর্শ করেন রোনালদো। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৬০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এর আগে ম্যাচের প্রথম গোলটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তিনটি ফাইনালে গোল কররা কীর্তি গড়েন রোনালদো। এখানেও পিছনে ফেলেন দুটি ফাইনালে গোল করা মেসিকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোল কররা রেকর্ডে রোনালদোর উপরে এখন একজনই। সর্বাধিক পাঁচ ফাইনালে গোল করা আর্জেন্টাইন কিংবদ্বন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানো।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ