নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা বৃষ্টির কারণে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মেঘনা-গোমতী সেতুর ওপর দিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলছে। এ কারণে দাউদকান্দির আমিরাবাদ থেকে মেঘনা সেতু এলাকা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
দাউদকান্দি পৌর সদরের ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের কয়েকজন ছাত্রী বলেন, তাঁরা সকালে কলেজে রওনা দিয়ে মহাসড়কে তীব্র যানজটে আটকা পড়েন। পরে তাঁরা বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের চালক আবুল কালাম আজাদ ও পাপিয়া পরিবহনের চালক মেহেদী হাসান বলেন, যানজটে পড়ে একই স্থানে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে ছিলেন তাঁরা। এ অবস্থায় কখন ঢাকায় পৌঁছাবেন, তা তাঁদের জানা নেই। বাসের যাত্রীরা বেশ কষ্টে আছেন।
কুমিল্লা শহরের প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড যানজটের কারণে লোকাল মাইক্রোবাসগুলো উল্টো পথে দাউদকান্দি বিশ্বরোড এলাকায় যেতে দ্বিগুণ ভাড়া চাচ্ছে।
দাউদকান্দির বারপাড়া পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া আক্তার গৌরীপুর এলাকায় যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় বলেন, বৃষ্টি আর যানজট মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী সবজি-বোঝাই ট্রাকের চালক বিপ্লব মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়েন তিনি। ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে তাঁর পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে। যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে না পারলে সবজির মালিকের ক্ষতি হবে।
চট্টগ্রামগামী লরির চালক সোহেল মিয়া ও কাভার্ডভ্যানের চালক ইমরান হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়েন তাঁরা। ২৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে তাঁদের চার ঘণ্টা সময় লেগেছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাতভর বৃষ্টির কারণে মেঘনা-গোমতী সেতু দিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলছে। মূলত এ কারণেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।