তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
তথ্য ফাঁস কেলেঙ্কারি ও এ নিয়ে তদন্তের জেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে ফেসবুক। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির শেয়ারের দর ২১ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে যেতে দেখা যায়। এতেই ফেসবুকের বাজারমূল্য কমে গেছে ১৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্য ফাঁস ও ভুয়া খবর কেলেঙ্কারির জেরে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি ফেসবুক। এমনকি বিশ্লেষকেরা দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর যে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, তাও ছুঁতে পারেনি তারা। গতকাল বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয় ঘোষণা করেছে ফেসবুক। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় শেয়ারের দামে ধস নামে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রায় ২৫০ কোটি মানুষ প্রতি মাসে সক্রিয়ভাবে তাদের অ্যাপগুলো ব্যবহার করছেন। তবে শুধু ফেসবুকে দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী গত বছরের চেয়ে ১১ শতাংশ বেড়েছে। ওয়াল স্ট্রিট যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, এটি তার চেয়ে কম। ইউরোপে দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী গত প্রান্তিকের চেয়ে ২ কোটি ৮২ লাখ কমেছে।
মূলত বড় ধাক্কাটা এসেছে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন থেকে আসা আয়ের ক্ষেত্রে। স্ট্রিট অ্যাকাউন্ট ও ফ্যাক্টশিট পূর্বাভাস দিয়েছিল, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১ হাজার ৩১৬ কোটি মার্কিন ডলার আয় করবে ফেসবুক। কিন্তু সে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম আয় হয়েছে ফেসবুকের। তারা আয় করেছে ১ হাজার ৩০৪ কোটি মার্কিন ডলার।
ফেসবুকের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ডেভিড ওহেনার বলেছেন, ‘আমরা পণ্যের প্রভাবের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশেষ করে গোপনীয়তা, যা আমাদের আয়ের প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে।’
অবশ্য ফেসবুকে বিনিয়োগকারীদের অনেকের বিশ্বাস, ফেসবুক আবার আগের রূপে ফিরে আসবে।
মাইন্ডশেয়ার নামের একটি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্মকর্তা মার্কো রিমিনি বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে মিশ্র ফলাফল। এটি ক্ষণস্থায়ী। ইউরোপে জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন বা জিডিপিআরের সাময়িক নেতিবাচক প্রভাব এটি। বিজ্ঞাপনদাতা ও ব্যবহারকারীদের ফেসবুকে আস্থা আছে।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুক এখন নিরাপত্তা ও ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপদ রাখতে ও গোপনীয়তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে।