নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলাচলের অনুপযোগী সড়ক দেখে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ আসনের এমপি আবদুর রহমান বদির ওপর চটেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়ক দিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার সময় মন্ত্রী বলেন, দুই দুইবার এমপি হইলা। কিন্তু এটুকু ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ঠিক করতে পারলা না। জনগণের এই ভোগান্তির জন্য তোমার শিক্ষা পাওয়া উচিত। তোমাকে আগামীবার নমিনেশন দেয়া হবে না।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ টিকিটে এমপি হন বদি। এরপর ইয়াবা পাচারের হোতা হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকায় তার নাম এলেও তাতে ২০১৪ সালে তার দ্বিতীয় দফা মনোনয়ন আটকায়নি। দুর্নীতির এক মামলায় গত বছর ক্ষমতাসীন দলের এই এমপিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত। ওই মামলা বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন।
বদির নির্বাচনী এলাকায় টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে ওবায়দুল কাদের ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি দল বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারে আসেন। শুক্রবার তারা চারটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় নেতা বীর বাহাদুর ও আখতারুজ্জামান এবং দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। তারা কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
সেখানে এক সমাবেশে সেতুমন্ত্রী কাদের ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে বলেন, আমরা এখানে ফুল নিতে আসিনি, ফটোসেশন করতেও আসিনি। আমরা এসেছি মানুষের বিপদে আর কষ্টে পাশে দাঁড়ানোর জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিবের আপনজন। তার নির্দেশেই আপনাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।
সমাবেশের পর আওয়ামী লীগ নেতারা চারটি দলে ভাগ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করতে যান। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, এমপি আবদুর রহমান বদি, আশেক উল্লাহ রফিক ও সাইমুম সরওয়ার কমলসহ অন্য নেতারাও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর