স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভিটামিন ই ক্যাপসুল। এটি শারীরিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থ থাকতে ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন-ই গ্রহণ করলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, চোখের ছানি, মাংসপেশির ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা ও আন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন-ই গ্রহণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। শুধু শারীরিক সুস্থতায় নয়, বরং ত্বক এবং চুলের জন্যও উপকারী এই ভিটামিন।
তবে দীর্ঘদিন ধরে অকারণে ভিটামিন খাওয়া থেকেও বিপদ হতে পারে। শরীরে ভিটামিন-ই এর যদিও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তবু সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে কিছু অবাঞ্ছিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে।
এগুলো হলো- চোখে ঝাপসা দেখা, ডায়রিয়া, মাথাঘোরা, মাথাব্যথা, বমিবমি ভাব, পেট কামড়ানো, অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা দুর্বলতা প্রভৃতি। এছাড়াও আরো কিছু সমস্যা রয়েছে।
সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
অ্যালার্জির সমস্যা : ভিটামিন-ই গ্রহণের পর কারও কারও ক্ষেত্রে কোনো অস্বাভাবিকতা কিংবা অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভাবস্থায় ক্ষতি : গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের বিকাশ এবং বৃদ্ধি নির্ভর করে মায়ের সঠিক পুষ্টি গ্রহণের ওপর। এ সময় অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন গ্রহণ করলে আবার ভ্রুণের ক্ষতি হতে পারে। কাজেই গর্ভাবস্থায় ভিটামিন গ্রহণে সাবধান থাকুন।
বুকের দুধ খাওয়ালে : শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য স্তনদানরত মহিলার সঠিকমাত্রায় ভিটামিন গ্রহণ জরুরী। এ সময় অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণে আপনার ও শিশুর অনেক ক্ষতি হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্মগ্রহণকারী শিশুর শরীরে ভিটামিন-ই এর মাত্রা কম থাকে। তখনও নানা সমস্যা হতে পারে। কাজেই ভিটামিন গ্রহণে এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অন্য ওষুধ গ্রহণ : আপনি যদি ভিটামিন-ই গ্রহণের সময় অন্য কোনো ওষুধ খেতে থাকেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাবেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দুটি ওষুধের মধ্যে প্রতিক্রিয়া ঘটে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা : চিকিৎসাগত বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা উপস্থিত থাকলে ভিটামিন-ই গ্রহণের ফলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ