২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:২৮

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গ সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকাল চারটায় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন গণভবনে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশ গেলে সফরের বিষয়বস্তু বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানান। সব শেষ সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে গত ২ মে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।

গত ২৫ ও ২৬ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম দিন কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজরিত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।

সফরের দ্বিতীয় দিন চুরুলিয়ার কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন শেখ হাসিনা। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তনে অবদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি তাকে সম্মানসূচক ডি লিড ডিগ্রি দেয়।

এই দুটি আনুষ্ঠানিকতার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফরের তথ্য আগেই জানিয়েছিল পররষ্ট্র মন্ত্রণালয়্। তবে এর বাইরে সফরের প্রথম দিন বাংলাদেশ ভবনেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক ঘণ্টার একান্ত বৈঠক হয়েছে শেখ হাসিনার। এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটি প্রকাশ করেনি দুই দেশের সরকার।

একইভাবে সফরের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগে আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আঘা ঘণ্টার একান্ত বৈঠক করেন কলকাতার একটি হোটেলে। এই বৈঠকের পর মমতার পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়া হলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি।

এই দুটি বৈঠকের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোনো নাকটীয় ঘোষণা আসে কি না, সে প্রত্যাশায়। তবে এ নিয়ে কী কথা হলো, সেটি প্রকাশ হয়নি।

২০১১ সালেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ভারতের সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকায় আসেন এই চুক্তি করতেই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে যান মমতা। আর তার অসম্মতিতে চুক্তি করতে চাননি মনমোহন।

মমতা এখনও তিস্তা নিয়ে চুক্তিতে রাজি নন। তার দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশকে যে পরিমাণ পানি দেয়ার কথা বলছে, সেটা পশ্চিমবঙ্গেই আসে না।

প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরের উদ্দেশ্য তিস্তা চুক্তি নয়, এই বিষয়টি আগেই খোলাসা করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবু সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা হচ্ছে এই বিষয়টি নিয়েই।

কারণ, ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় সরকারর চলতি মেয়াদেই তিস্তা চুক্তির অঙ্গীকার করেছিলেন মোদি। তখন মোদির সঙ্গে ছিলেন মমতাও।

আর সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে তিস্তা নিয়ে প্রত্যাশার পারদ আরও উঁচুতে। আর নির্বাচনের বছরে মোদি ও মমতার সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে তিস্তা নিয়ে কী অগ্রগতির হয়েছে, তা জানার আকাঙক্ষা আছে দেশবাসীর মধ্যে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের  এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছেন তিস্তা নিয়ে অগ্রগতি আছে। তবে সময় মতো তা প্রকাশ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সফরের আনুষ্ঠানিকতার নিয়ে কথা থাকে। তবে প্রশ্নোত্তর পর্বে অন্যান্য বিষয়ও উঠে আসে। তাই মোদি ও মমতার বৈঠকে কী কথা হয়েছে, তা শেখ হাসিনার মুখ থেকেই শোনার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

২০১৭ সালের এপ্রিলের ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেন ওই বছরের ১১ এপ্রিল। ওই সফরে সই হওয়া চুক্তি ও সমঝোতার বিষয়ে নানা প্রশ্নের জবাব সেই দিনই দেন শেখ হাসিনা।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মে ২৯, ২০১৮ ২:৩৭ অপরাহ্ণ