মারুফ শরীফ,নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপাসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রামের কোনও বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তবে তিনি মনে করেন দেশে যেহেতু স্বাধীন বিচার বিভাগ নেই তাই সরকারের পতনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
এ ব্যাপারে তার বক্তব্য, ‘বিচার বিভাগ বলতে দেশে আজ আর কিছু নেই। সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ পরাধীন। এমন অবস্থায় এই অবৈধ সরকারের বিদায় ছাড়া ভোটারবিহীন বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তি হবে বলে মনে হয় না।’
সোমবার (২৮ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী এবং চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ নিরীহ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। তবে অনেকেই কঠোর কর্মসূচির কথা বলছেন। সময় হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এজন্য আমাদের আরও জোর প্রস্তুতি নিতে হবে।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দেশের বিচার বিভাগ আজ স্বাধীন নয়। সে কারণেই শুধু আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে বলে মনে হয় না। এজন্য আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারি সরকারকে বিদায় করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রামও প্রয়োজন। রাজপথে এই ইস্যুর ফয়সালা করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঈদের পরে নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের যে কর্মসূচি দিবেন সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।’
কৃষক দলের সহ-দফতর সম্পাদক এস কে সাদীর পরিচালনায় এসময় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাইনুল ইসলাম, কৃষক দল নেতা এমএ তাহের, তকদির হোসেন মো. জসীম, আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন মাস্টার, সৈয়দ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম মিয়া, ঢাকা মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক অ্যাড, নাসির হায়দার ও বগুড়া জেলা বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
ইফতার অনুষ্ঠান শুরুর আগে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা, মুক্তি এবং দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর