অনলাইন ডেস্ক:
আবারো বেঁকে বসলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যোগ দিচ্ছেন না আসানসোলে কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটিতে শনিবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। নবান্ন থেকে এ বিষয়ে দুটি কারণ জানানো হয়েছে। এর যথার্থতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
মমতা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আছে। এ জন্য তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না।ওই অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডি-লিট দেওয়ার কথা রয়েছে।
মমতার এমন সিদ্ধান্তে অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকা শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন করা হয়েছে। এ নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পশ্চিমবঙ্গের কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটিতে যে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শনিবার সম্মানসূচক ডি-লিট দেওয়া হচ্ছে, শেষ মুহূর্তে এসে সেই অনুষ্ঠানের অতিথিদের তালিকা আকস্মিকভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগে ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তার অর্থ হলো শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে ওই ইভেন্টকে পাশ কাটাচ্ছেন মমতা।
আরও বলা হয়, শনিবারের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির নামও বাদ দেওয়া হয়েছে। কী কারণে হঠাৎ করে এই সমাবর্তনের অতিথি তালিকায় পরিবর্তন! পরিবর্তিত অতিথির তালিকা পাঠানো হয়েছে বুধবার। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের সিনিয়র এক কর্মকর্তা কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর সাধন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলেন। তাতে অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের যে আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়েছে তাতে চিফ গেস্ট বা প্রধান অতিথি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। তার বক্তব্য রাখার জন্য সেখানে ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখা হয়। সেখানেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ