বিনোদন ডেস্ক:
নিয়তি’ চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালক হিসেবে ২০১৬ সালের জন্য সেরা নির্বাচিত হয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন হাবিব। কিন্তু তিনি দাবি করছেন, এই ছবিটিতে তিনি কাজ করেননি। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ছবিটিতে কলকাতার এক কোরিওগ্রাফার নাচের পরিচালনা করেছিলেন।
কাজ না করেও হাবিবকে নৃত পরিচালক হিসেবে পুরস্কার দেয়া নিয়ে ক্ষোভ আর প্রতিবাদে সরব চলচ্চিত্রপাড়া। সবাই ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়াকে দাবি করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জালিয়াতি করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন।
এইসব সমালোচনার মুখেই ‘নৃত্য পরিচালক’ বিভাগটি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায় তথ্য মন্ত্রণালয়। তারা বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালায় এবং ‘নিয়তি’ ছবিতে হাবিবের কোনোরকম সংযুক্তি খুঁজে পায়নি। ফলে এই পুরস্কার বাতিল করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬’-তে ‘সেরা নৃত্য পরিচালক’ বিভাগটি বাতিল করা হয়েছে।
তবে কোনোরুপ শাস্তি বা আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না তথ্য গোপন করে তথ্য মন্ত্রণালয় তথা সামগ্রিক চলচ্চিত্রকেই সমালোচনার মুখে ফেলে দেয়া সংশ্লিষ্ট প্রযোজক কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জালিয়াতি সমস্যার সমাধানে বিভাগ বাতিল করে অন্যায়কারীদের কোনো শাস্তি না দেয়া নিয়ে এবার নতুন করে সমালোচনা উঠেছে। কেউ কেউ মনে করছেন, মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখেছেন। কিন্তু এটি মোটেও এমন হালকা কিছু নয়। তথ্য গোপন করে একটি মন্ত্রণালয়কে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা মানে পুরো রাষ্ট্রকেই ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা। রাষ্ট্রকে খাটো করে দেখার মানসিকতাও এখানে প্রকাশ পায়। যা দেশদ্রোহীতার মতোই অপরাধ।
প্রসঙ্গত, ‘নিয়তি’ ছবিতে ‘ঢাকাই শাড়ি’ শিরোনামের গানের নৃত্য পরিচালনার জন্য নৃত্য পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ হাবিবের নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ছবিটির এই গানে নৃত্য পরিচালক হিসেবে কাজ করেন ভারতের জয়েশ প্রধান। এমনটা জানিয়েছেন ছবির পরিচালক জাকির হোসেন রাজু নিজেও। তবে কেমন করে বাংলাদেশের হাবিবকে এই গানের জন্য পুরস্কার দেয়া হলো সে নিয়েই শুরু হয়েছিলো সমােলোচনা।
২০১৬ সালের আগস্টে মুক্তি পাওয়া ‘নিয়তি’ ছবিতে অভিনয় করেন আরিফিন শুভ ও জলি।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। এ বছর ২৫টি বিভাগে ২৮ জন ব্যক্তিকে পুরস্কার দিচ্ছে সরকার। আর প্রামাণ্যচিত্রের জন্য পুরস্কার পাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড।
দৈনিক দেশজনতা /এন এইচ