লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
হিজাব পরে আপনি পার্টির মধ্যমনি হয়ে উঠতে পারেন। এজন্য প্রয়োজন ফ্যাশনেবল একটি মন। পার্টিতে অনন্যা হয়ে উঠতে প্রয়োজন হিজাবের রঙ, ডিজাইন, অ্যাক্সেসরিজ এবং পরার ধরনের উপর জোর দেয়া। কিভাবে হিজাব বাঁধলে গড়ে তোলা যাবে স্বতন্ত্র আকর্ষণ এবং পার্টি লুকে হিজাবের সঙ্গে মানানসই অ্যাক্সেসরিজের যথাযথ ব্যবহার। এগুলো মাথায় রাখাটা একজন ফ্যাশনেবল নারীর জন্য জরুরি।
বর্তমানে মুসলমানদের মধ্যে বিয়ের কনের সাজেও স্বগর্বে স্থান করে নিয়েছে এই হিজাব। জমকালো সাজকে সবার কাছে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য করতে হিজাবকে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন। আপনি যে পোশাকই পরেন না কেন, এর সাথে ঝটপট মার্জিত ফ্যাশনেবল হিজাব পরে, তার সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারেন হিজাবের নানান রকম উপকরণ। যেমন ধরুন স্টোন নেকলেস, ডেকোরেটেড নেকলেস, হিজাব ব্রোচ, হিজাব পিন, ব্যান্ড ঝুমকা এবং টিকলিসহ হিজাবের এইসব আনুসাঙ্গিক অলংকারের ব্যবহার আপনার হিজাবি চেহারায় ফুটিয়ে তুলবে রাজকীয় ভাব।
জাঁকজমকপূর্ণ পার্টি অথবা ঘুরতে বেরোনোর সময় আপনার হিজাবে মানানসই হিজাবি উপকরণ যুক্ত করে পোশাকের মধ্য দিয়ে নিজের রুচিশীলতা এবং আভিজাত্যের প্রকাশ ঘটাতে পারেন। বর্তমানে হিজাবের সঙ্গে পরার জন্য পাথর ও পুতির বিভিন্ন ডিজাইন করা ব্রোচ পাওয়া যায়। হিজাবের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ব্রোচ ব্যবহার করুন। এটা আপনার লুকে একটি স্নিগ্ধভাব যুক্ত করবে। খেয়াল রাখবেন আপনার পোশাক যদি একরঙা হয়, তাহলে প্রিন্টেড হিজাব বেছে নিন।
অফিসে খুব বেশি চকমকে ব্রোচ ব্যবহার না করাই শ্রেয়। তবে কোনো পার্টিতে নিজের সংগ্রহে থাকা সবচেয়ে জাঁকজমক ব্রোচটি পরতে ভুলবেন না।হিজাব বাঁধার সময় খেয়াল রাখবেন, একের অধিক ব্রোচ যেন ব্যবহার না করা হয়। রঙিন পিন ব্যবহার করলেও সেই রঙ যেন হিজাবের রঙের সঙ্গে বেখাপ্পা না লাগে। বাজার ঘুরে কটন, লেস, জর্জেট ও সার্টিনসহ নানা ধরনের কাপড়ের হিজাব দেখা যায়। কাপড়ের মান ও নকশার ওপর ভিত্তি করে এগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বেছে নিন নিজের বাজেটের মাঝে। অফিসের জন্য বেছে নিন হালকা রঙের হিজাব।