নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর মারা যাওয়া রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বধীন চার বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আদেশে রাজীবের দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার জন্য কারা দায়ী এবং কার কতটুকু দায় তা নির্ধারণের জন্য একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করে দিতে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কমিটিকে আগামী ৩১ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রাজীবের দুই ভাইকে কতটা ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় তাও নির্ধারণ করবে এই কমিটি। আদালতে বিআরটিসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। আদালত থেকে বের হওয়ার পর জানান তিনি। আদালতে রাজীবের পরিবারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
প্রসঙ্গত, রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গত ৮ মে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। এরপর এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল দুই বাস চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো শিকার হন তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব। দুই বাসের চাপে হাত কাটা পড়ে রাজীবের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রাজীবের চিকিৎসার খরচ স্বজন পরিবহন মালিক এবং বিআরটিসিকে বহনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আইন সংশোধন বা নতুন করে বিধিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
রাজীব ১৬ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাত মারা যান। এরপর ৬ মে এ তথ্য আদালতকে অবহিত করেন আইনজীবী কাজল।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি