রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে পৃথক দুটি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। জেলার পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলায় ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- পুঠিয়ার জামিরা গ্রামের পুকুর আলীর ছেলে পিয়ারুল ইসলাম (৫০) ও দুর্গাপুরের সুখানদীঘি গ্রামের মৃত দেলু মণ্ডলের ছেলে ইসহাক আলী (৫৫)।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোশাররফ হোসেন জানান, পিয়ারুলকে হাসপাতালে আনা হয় সোমবার সকালে। আর ইসহাককে আনা হয়েছিল রবিবা দিবাগত রাতে। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তারা মারা যান। দুজনেরই মরদেহ রামেকের মর্গে রাখা আছে।
নিহত পিয়ারুলের জামাতা মনজুর হোসেন জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোমবার সকালে পিয়ারুলের সঙ্গে তার ভাই ও ভাতিজাদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পিয়ারুলকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে নিহত ইসহাকের ভাতিজা রাজু আহমেদ জানান, রবিবার বিকালে সুখানদীঘি গ্রামের আবদুল আউয়াল নামের এক ব্যক্তির গরু অন্য আরেক ব্যক্তির মরিচ ক্ষেত নষ্ট করে। বিষয়টি নিয়ে রাতে গ্রামের মোড়ে স্থানীয়রা সমালোচনা করছিলেন। আবদুল আউয়ালের সমর্থকরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এ সময় গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি পিয়ারুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান রাজু আহমেদ।
পুঠিয়ার বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. গোলাম মোস্তফা ও দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, এই দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শনও করেছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে রামেকের মর্গে নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ