সোমবার সচিবালয়ে বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা ২০০৪ সাল থেকে ছিল। নীতিমালাটি সংশোধন করে আইন আকারে করা হচ্ছে। নীতিমালায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের মোবাইল বরাদ্দের সুযোগ ছিল না। এ আইনে তা যুক্ত করা হচ্ছে। তবে এখনই ঠিক করা হয়নি তাদের কত টাকা মূল্যের মোবাইল সেট দেওয়া হবে। পরে এ আইনের সাথে তা যুক্ত করা হবে।
শফিউল আলম বলেন, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবদের জন্য মোবাইল বিল নির্ধারিত নয়। পোস্টপেইড পদ্ধতিতে সরকারি কোষাগার থেকে তাদের মোবাইলের মাসিক বিল পরিশোধ করা হবে। তবে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিবদের জন্য মোবাইল বিল বাড়ানো হয়েছে এ আইনে। আগে তাদের প্রতি মাসে বিল বাবদ প্রদান করা হতো ৬০০ টাকা। এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫০০ টাকা। তবে এ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মোবাইল সেট প্রদান করবে না সরকার।
‘এর আগে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবদের জন্য মোবাইল ক্রয়ে বরাদ্দ ছিল ১৫ হাজার টাকা। তা বাড়িয়ে করা হলো ৭৫ হাজার টাকা।’ যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আজকের মন্ত্রিসভায় ‘হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন-২০১৭’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইনটি ১৯৭৫ সালের একটি আইন। এটিকে বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে। তবে পরিবর্তিত ৬ ধারায় বলা হয়েছে এ আইনে ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য একটি পরিষদ থাকবে। পরিষদের প্রধান থাকবেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। ভাইস-প্রেসিডেন্ট থাকবে ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী। তবে সদস্য সচিব থাকবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ